জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে গত ২৩ জুলাই মঙ্গলবার বিকল ৩টা নাগাত ২৪ ঘন্টায় ৬৪ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদ সীমার ৩৬সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হইতেছে। অপরদিকে যমুনা নদী পানি অনেকটা কমলেও ব্রক্ষপুত্র নদের পানি তেমন কমেনি। জানিয়েছেন জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো)এর নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী।
এ দিকে জেলা ত্রান ও পুর্ণবাসন অফিসের সর্বশেষ তথ্যনুযায়ী জানাগেছে জেলার সাতটি উপজেলার ৬২টি ইউনিয়ন ৮টি পৌর সভার মধ্যে ৭টি পৌরসভা বন্যা কবলিত হয়েছে। এতে সারা জেলায় ২২লাখ ৯২হাজার ৬৭৪ জন লোক সংখ্যার মধ্যে ১২ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯০ জন লোক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ৭ হাজার ২৫০টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণরূপে এবং ৪৫ হাজার ৫৮০ টি বাড়িঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইফতেখার আলম বাবুল,চিনাডুলী ইউপির চেয়ারম্যান,আব্দুস ছালাম, বেলগাছার ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মালেক বলেন, ১৯৮৮ইং সালের পূর্বে এ অঞ্চলে হরিণধরা বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ছিল। সে সময় রক্ষাকবজ হিসাবে এই বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের কারণে জামালপুরে কখনও এত বন্যা হয়নি। কিন্তু ১৯৮৮সালের পরবর্তি যমুনার ভাঙ্গনে হরিণধরা বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধটি নদী গর্ভে বিলিন হলে তার পর থেকে প্রতি বৎসর জামালপুরের মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে। তারা আরো বলেন,আমাদের জামালপুরে যমুনার বাঁধটি না থাকার কারণে প্রতি বৎসর বর্ষা এলেই পানিতে চরে বীরে একাকার হয়ে বানবাসি মানুষের সহায় সম্বল খোঁয়িয়ে গোবাদি পশু নিয়ে চরমা দূর্ভোগ পোহাতে হয়। পাশাপাশি বন্যায় শত শত কিলো মিটার কাঁচা-পাকা রাস্তা, ব্রীজ কালভার্ট, রেল লাইনসহ কোটি কোটি টাকার সরকারী সম্পদ বন্যায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই সারা দেশের তোলনায় জামালপুর বাসি দারিদ্রতার কষাঘাতে নিস্পেষিত হয়ে আসছে। তাই আমাদের দাবী দেওয়ানগঞ্জের শেষ সীমানা থেকে ইসলামপুর, মেলান্দহ,মাদারগঞ্জ হয়ে সরিষাবাড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ একটি যযুনা নদী বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা একান্ত প্রয়োজন। বাঁধটি নির্মাণ করা হলে জামালপুর জেলাবাসি অনেকটাই বন্যা থেকে রক্ষা পাবে।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ চিনাডুলী গ্রামের মুসলিম উদ্দিন,আছাদ আলী (৪০) আবদুর রহিম, মনিরা আক্তার,সালমা বেগম, তারা বলেন অংগরে প্রতি বছর বন্যার আসলে ১৫দিন-মাসব্যাপী বুড়া মানুষসহ ছোট ছোট পোলাপাইন নিয়ে পানিতে হাবুডুবুর করে আহার,নিদ্রা বাদ দিয়ে সম্বল খুঁয়িয়ে সংগ্রাম করে বাঁচতে অয়। অংগরে (আমাদের) প্রাণের দাবী আমরা প্রতি বছর ত্রান সাহার্য্য চাই না, আমরা বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মাণ চাই। এ ব্যাপারে জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ ফরিদুল হক খান দুলাল বলেন- বাঁধটি নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিকট দাবি জানানো হয়েছে এবং সরকারের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। তিনি বলেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এ বিষয়ে জরুরী হস্ত ক্ষেপ করবেন বলে তার কাছে এলাকাবাসীর পক্ষে অনুরোধ করছি।