নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে গোলাম কিবরিয়া মিন্টু (৩৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৮জনকে আসামি করে সোমবার রাতে নিহতের স্ত্রী রিনু বেগম (৩০) বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইমান আলী চৌকিদার বাড়ির বাসিন্দা মোঃ ইসমাইলের ছেলে মিন্টু। গত শনিবার দুপুরে নিজ ঘরে ভাত খাওয়ার জন্য বসলে একই এলাকার তানভীর, তৌহিদ, পিয়াস, হৃদয় ও রিপনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাকে ঘর থেকে টেনে হেছরে বের করে মারতে মারতে পার্শ্ববর্তী ছিদ্দিক ঊল্যাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে তার হাত, পা ও চোখ বেঁধে দেশীয় অস্ত্রদিয়ে কোপাতে থাকে এবং রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে ফেলে যায়। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথম কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সোমবার রাতে নিহতের স্ত্রী রিনু বেগম তানভীরকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে।
নিহতের ভাই গোলাম আজম আজাদ সমকালকে বলেন, জনরোষে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়নি। আমার ভাই মিন্টু মাদকের মামলা জামিনে ছিল। এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী তানভীর, তৌহিদ, পিয়াস, হৃদয়, রিপন, রুবেল, বিপ্লব ও রাব্বী আমার ভাইয়ের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমার ভাই মিন্টুকে হাত, পা ও চোখ বেঁধে দেশীয় অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই তাজুল ইসলাম জানান, হত্যা মামলায় তদন্ত চলতেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওদিকে সোমবার পেয়ার জাহান ডলি (তানভীরের মাতা) বাদী হয়ে মাইন উদ্দিন কাঞ্চন প্রধান আসামি করে ১৫/২০ জনকে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভাংচুরের মামলার আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৮, তারিখ- ২২/০৭/২০১৯।
জানা যায়, রবিবার বিকেলে পেয়ার জাহান ডলির বাড়িতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বশত ঘরে প্রবেশ করে ষ্টীলের আলমারী, ট্রেবিল, চেয়ার, শোকেছ, খাট পালন ভাংচুর করে পরে তারা সঙ্গবদ্ধ হইয়া আলমারি থেকে নগদ ১ লক্ষ টাকা, ৫ভরি স্বর্ণলংকার সহ ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা ককটেল বিষ্ফোরণসহ বিভিন্ন ধরণে আগ্নিঅস্ত্রের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে পালিয়ে যায়। ওই মামলায় পুলিশের উপ-সহকারী শিশির বাবু জানান, মামলাটি তদন্তধিন রয়েছে। অচিরে ওই মামলার আসামীদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।