সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা এবং পেনশন পাওয়ার দাবিতে দেশের অন্যান্য পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায় পাবনার সুজানগর পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আহূত টানা দশদিনের এই কর্মসূচিতে সুজানগর পৌরসভার ৯০জন কর্মকর্তা-কর্মচারী যোগদান করায় পৌরবাসী নাগরিকসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
পৌরসভার তিন নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক আবদুর রহিম বলেন ইতঃপূর্বে সুজানগর পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও অফিস খোলা থাকছে। এতে পৌরবাসী নাগরিক সনদ, জন্ম সনদ এবং ট্রেড লাইন্সেসহ দৈনন্দিন কিছু নাগরিকসেবা নিতে পেরেছেন। কিন্তু এ দফায় অফিসে তালা ঝুলিয়ে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি ওই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া আমরা পৌরবাসী বিপদে পড়েছি। পৌরকর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি পালন করার কারণে পৌরবাসী বিশেষ করে পরিবেশ দূষণের কবলে পড়েছেন। টানা দশদিন পৌর শহরের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার না করায় শহরের অলিগলিতে জমে রয়েছে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। বৃষ্টিতে ওই সকল ময়লা-আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে পৌর বাজারসহ শহরের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এ ছাড়া একই কারণে নিয়মিত পৌরসভার পানি নিষ্কাশন ড্রেন পরিষ্কার না করায় জলাবদ্ধতার পাশাপাশি ড্রেনের পচা-ময়লা আবর্জনায় মশার উপদ্রব দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে অবস্থান কর্মসূচির কারণে পৌরসভার যানজট নিরসনে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা। এতে প্রতিদিন পৌর শহরে প্রচ- যানজট দেখা দেওয়ায় পৌরবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এককথায় পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচির কারণে সর্বস্তরের পৌরবাসী দৈনন্দিন নাগরিকসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে পৌর সচিব গোলাম নবী বলেন আমাদের অবস্থান কর্মসূচির কারণে পৌরবাসী নাগরিকসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সত্য। তবে আমরাও ন্যায্য দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। কাজেই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।