লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার মধ্য করপাড়া গ্রামে বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করতে সন্ত্রাসী পাহারা বসতঘরে ৫টি তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে পুত্র ও পুত্রবধু। বসতঘরে তালা দেওয়ায় বৃদ্ধ পিতা-মাতা ৬ দিন যাবত মানবেতর জীবন-যাপন করছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সুত্রে জানায়,উপজেলার মধ্য করপাড়া গ্রামের কুমুর ডাক্তার বাড়ির ৮৩ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করে একটি পাকা ভবন নির্মান করে সন্তানদের নিয়ে ৪৮ বছর যাবত বসতবাস আসছে মুনছুর আহমেদ (৮৫) এবং দুলালী বেগম (৭০) দম্পত্তি। চলতি মাসের ২০ জুলাই তাদের বড় পুত্র সালেহ আহমেদ বাবুল এবং পুত্রবধু কামরুল নেছা রুমী ২০/২৫ জনের অস্ত্রধারী ব্যক্তির উপস্থিতিতে বসতঘরের ৩টি কক্ষে,বার্থ রুম ও লাকড়ী রাখার ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে ৭দিনের মধ্যে বসতঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়ে যায়। বৃদ্ধা মা দুলালী বেগম বলেন,বর্তমানে আমরা স্বামী-স্ত্রী ছাড়া বসতঘরে কেউ থাকে না। বয়সের কারণে বসতঘরের বাহিরে গিয়ে বার্থ রুম এবং গোসল করতে পারছে না। বড় পুত্র তার স্ত্রীর নির্দেশে বসতঘর এবং বার্থ রুমে তালা মেরে দিয়েছে। গ্রাম্য শালিসদার এটিএম নুরুজ্জামান মাস্টার বলেন, বৃদ্ধ মুনছুর আহমেদের বড় পুত্র সালেহা আহমেদ বাবুল ক্রয় সুত্রে মালিক থাকায় সম্পত্তি তার স্ত্রী এবং সন্তানদের নামে দলিল করে দেয়। ওই সম্পত্তি দখল করতে করপাড়া ইউনিয়ন আদালতে একটি আবেদন করে। আদালতের আদেশ পেয়ে এলাকার কিছু লোকজনকে ঝড়ো করে বসতঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে একটি রুমে রেখে তালা ঝুলিয়ে দেয়। অভিযুক্ত সালেহ আহমেদ বাবুল বলেন,আমার টাকা ক্রয় করা সাড়ে ৪২ শতাংশ সম্পত্তি বুঝিয়ে না দেওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ আদালতে আবেদন করি। রায় পেয়ে তালা মেরেছি। মোহাম্মদিয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর এমদাদুল হক এমদাদ বলেন,পিতা-মাতার বসতঘরে তালা মারার ঘটনায় ২৪ জুলাই সন্ধ্যায় শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থায় নেওয়ায় হচ্ছে।