পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার ৫৭নং দীঘিরজান সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এক সহকারি শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ৯ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীদের নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মনিরুল ইসলাম মৃধা নামে এক অভিভাবক নাজিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মলিনা রানী মজুমদার ও সহকারি শিক্ষিকা শিউলী রানী হালদার পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নীলা আক্তার, লিয়া মনি, রাজিয়া, সাম্মি আক্তার, তাসলিমা, ফারজানা, ইতি, জিনিয়া ও চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাবিলা এবং তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র আজমিরুল মোল্লাদের লাইব্রেরীতে ডেকে নিয়ে বেধড়ক বেত্রাঘাত করে। এ সময় তারা এ ঘটনা কাউকে জানালে স্কুল থেকে টিসি দেয়ার হুমকি দেয়। ওই শিক্ষার্থীরা বাড়ী এসে কাউকে ঘটনা জানায়নি। রাতে ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারি শিক্ষক জোসনা বেগম তাদের প্রাইভেট পড়াতে এলে তার কাছে শিক্ষার্থীদের অসুস্থ বলে মনে হয়। তখন তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি তাকে জানায়। পরে সকালে ওই শিক্ষার্থীদের নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষিকা মলিনা রানী মজুমদার ও শিউলী রানী হালদার শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাত করার কথা স্বীকার করে জানান, বিদ্যালয়ে আসার পথে ওই শিক্ষার্থীরা এক মহিলা ও তার মেয়েকে গালাগাল করায় এবং তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করায় শিক্ষার্থীদের শাসন করা হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রোকসানা জানান, ওই শিক্ষার্থীদের গুরুতর কোন সমস্যা নেই। তাই তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নাজিরপুর থানার ওসি মো. মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, এ ঘটনায় এক ছাত্র অভিভাবক লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।