জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গতকাল শুক্রবার সকালে সোনারগাঁয়ে চৈতি কম্পোজিটের নিরাপত্তাকর্মীদের সাথে স্থানীয় এলাকাবাসীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় চৈতি কম্পোজিটের নিরাপত্তাকর্মীরা স্থানীয়দের উপর রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে ৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে টিপরদী এলাকার চৈতি কম্পোজিট লিমিটেড এর মালিক আবুল কালামের লোকজন গতকাল শুক্রবার সকালে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছোট শিলমান্দি মৌজার একটি বিরোধপূর্ন জমিতে দেয়াল দিয়ে দখল করার চেষ্টা করে। এসময় টিপরদী জামাল উদ্দিনের ছেলে শাকিল তার লোকজন দিয়ে বাঁধা দেয় এবং চৈতি কম্পোজিটের দেয়া দেয়াল ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করে। এতে চৈতি কম্পোজিটের নিরাপত্তাকর্মীরা বাঁধা দিলে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় চৈতির নিরাপত্তাকর্মীরা রাবার বুলেট ছুড়লে শাকিল, তানজিল, মিজুসহ ৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে চৈতির নিরাপত্তা কর্মীরা পুলিশের সামনে রাবার বুলেট ছুড়ে স্থানীয়দের ধাওয়া দেয়। পরে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীদের ইট পাটকেল ছুড়ে পাল্টা ধাওয়া করে। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এব্যাপারে আহত শাকিল জানায়, আমার পৈত্রিক বসতবাড়ি জোর পূর্বক দখল করে প্রাচীর নির্মাণর কাজ করতে যায় চৈতি কম্পোজিটের লোকজন। এসময় আমিসহ আমার লোকজন নির্মাণ কাজে বাঁধা দিলে তারা নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখে, চৈত গ্রুপের লোকজন সোনারগাঁ থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে সন্ত্রাসীরা নির্মাণ কাজ আবারো শুরু করে। নির্মাণ কাজ আবারো শুরু করায় আমি ও আমার লোকজন ফের বাঁধা দিতে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতে আবুল কালামের লোকজন আমাদের উপর গুলি ছোড়ে। এসময় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে ।
এব্যাপারে চৈতি কম্পোজিটের এজিএম মিজানুর রহমান জানান, আমাদের জমিতে গত ২ বছর আগে করা দেয়াল কে বা করা সকাল বেলা ভাঙ্গতে আসে। এসময় আমাদের ফ্যাক্টরীর লোকজন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে তারা বাঁধা না মানলে পুলিশ তাদের উপর রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের নিরাপত্তা কর্মীরা জড়িত নয়।
এব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, দু’পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ দু রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছোড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।