পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার লেবুঝিলবুনিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উপবৃত্তি নিয়ে প্রতারনা ও জালিয়াতির অভিযোজ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা গেছে, ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নামে বরাদ্দকৃত উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের জন্য তিনি প্রতারনা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে তাদের নাম ও ছবি ব্যবহারসহ অনেকের অভিভাবকের নাম পরির্বতন করে নিজেদের বব্যহৃত মোবাইলে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলছেন। জানা গেছে, ওই মাদ্রাসার দশম শ্রেনীর ছাত্র ও স্থানীয় মোঃ রেজাউল করিমের পুত্র মোঃ ফেরদাউছের উপবৃত্তির জন্য অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। কিন্তু তাকে বা তার অভিভাবককে না জানিয়ে ফেরদাউছের ছবি এবং উপজেলা দেউলবাড়ি ইউনিয়নের পাকুরিয়া গ্রামের আশরাফ আলী বেপারীর ছেলে রেজাউল হোসেন নামের এক ব্যাক্তির ছবি ও জাতিয়পরিচয় পত্র ব্যবহার করেন। আর এতে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আবুর ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলেন। এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসা ছাত্রের বাবা রেজাউল করিম বলেন, উপবৃত্তির টাকা পাওয়া বা না পাওয়া বড় কথা নয়। মাদ্রাসা থেকে বিকাশ অ্যাকাউন্ট করার বিষটি আমাকে না জানিয়ে তারা আমার পরির্বতে অন্য একজনকে আমার ছেলের বাবা সাজিয়ে তার কাগজপত্র ব্যবহার করে এক শিক্ষকের মোবাইল নম্বারে বিকাশ অ্যাকাউন্ট করেছে। এটা খুবই আপত্তিকর। আমি ঘটনা জানার পরে মাদ্রাসার কমিটিকে জানিয়েছি। তারা বলেছে এটা ঠিক করে দিবে। একই ভাবে ওই প্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র রাকিবুল ইসলাম চলতি বছরের দাখিল পাশ করা ছাত্র মোঃ মহিব্বুল্লা, ২০১৮ সালে পাশ করা ছাত্র রুবেল ও ২০১৮ সালে পাশ করা ছাত্র রাকিব হোসেনের অভিভাবক সাজিয়ে বিভিন্ন ব্যাক্তির নামে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। তারা কেহই জানে না তারা উপবৃত্তি পাবে বা ওই টাকা পেতে তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ওই সব শিক্ষর্থীসহ আরও অনেককেই না জানিয়ে তাদের নাম ও ছবি ব্যবহার সহ প্রয়োজনিয় কাগজপত্র জাল-জালিয়াতি করে ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে নিজেদের মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলছেন। ওই মাদ্রাসা থেকে ২০১৮ সালে দাখিল পাশ করা বর্তমানে আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোঃ রুবেল বলেন, আমার নামে উপবৃত্তির জন্য বিকাশ অ্যাকাউন্ট করার বিয়য়ে আমি কিছুই জানি না এবং আমার কাছ থেকে কোন প্রকার কাগজপত্র বা মোবাইল নম্বর নেয়া হয়নি। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ ফরিদ আহমদ বলেন, উপবৃত্তির জন্য মাদ্রাসা থেকে ১৩০জন ছাত্র-ছাত্রীর নামে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। অফিস সহকারী নতুন হওয়ায় এবং তিনি সব ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো ভাবে না চেনায় কিছু ভূল-ত্রুটি হয়েছে। সেগুলো আমরা অভিভাবকদের ডেকে সংশোধন করবো। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মাহিদুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলায় উপবৃত্তির জন্য নানা বিকাশ অ্যাকাউন্ট করায় নানা ভূল-ত্রুটি হয়েছে। এ সংক্রন্তে আমি ঢাকায় একটা প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। তাছারা কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।