পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন সড়কে র্দীঘদিন যাবৎ মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষন না হওয়ায় বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। যার ফলে সাধারন মানুষের যোগাযোগ ব্যাবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। এ উপজেলায় প্রায় ৩ লাখ লোকের বসবাস। তাদের চিকিৎসার জন্য রয়েছে একটি হাসপাতাল, একটি সরকারি মহিলা কলেজ ও একটি বন্দর, যেই বন্দর থেকে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের যে, ছোট বড় হাট-বাজার আছে ঐ বাজার গুলোর ব্যবস্য়াীরা শ্রীরামকাঠী বন্দর থেকে পাইকারি মালামাল ক্রায় করে থাকেন, আর ঐ সমস্ত ক্রয় করা মালামাল উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে গাড়িতে করে নিতে হয়। তাই রাস্তা গুলো খানা খন্দকে ভরে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে হাসপাতালে রোগী আসতে যেমন কষ্ট হয় তেমনি ব্যবসাইদের পড়তে হয় ভীষণ বিপদে। উপজেলা সদরের রাস্তাগুলো চলাচলে উপজোগী হলেও ইউনিয়নের মধ্যে যে ছোট রাস্তা গুলির বেশির ভাগ রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। রাস্তার মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিদিনই ঘটছে দূর্ঘটনা। তারপরেও ঝুকি নিয়ে সাধারন মানুষ যানবাহনে চলাচল করছে। নাজিরপুর থেকে শ্রীরামকাঠী, রামনগর থেকে খেজুর তলাবজার, রামনাগর থেকে শেখমাটিয়া বাজার ও রাজলক্ষী কলেজ এ ছারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ছোট রাস্তায় গুলিতে ছোট বড় অনেক গর্ত রয়েছে। উপজেলা মধ্যে সবচেয়ে বেশি খারাপ নাজিরপুর থেকে শ্রীরামকাঠী বাজার পর্যন্ত। অটো বাইক চালক মোঃ মুজিবর জানান, রাস্তার মধ্যে অনেক গর্ত থাকায় গাড়ির চাঁকা লিক হয়, অল্প কিছুদিন পর পর গাড়ির টায়ার পাল্টাতে হয়। ভ্যান চালক ফেরদাউস জানায়, খারাব রাস্তার কারণে গাড়ির চাকার রিং বাঁকা হয়ে যায়। ইচ্ছে হয়না গাড়ি নিয়ে বের হতে। বাধ্য হয়ে জিবীকার টানে ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন গাড়ি নিয়ে বের হতে হয়। কিছু দিন পর পর রাস্তায় ইট পাথর দিয়ে মেরামত করা হলেও মাস যেতে না যেতেই আবার গর্ত দেখা দেয়, না হয় পিজ ঢালাই উঠে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে যায় যার কারণে আমাদের অটো ভ্যানে যাত্রী খুব কম ওঠে রাস্তা খারাবের কারণে নাজিরপুর-শ্রীরামকাঠী ২০ টাকার ভাড়া মটরসাইকেলে ৪০/৫০টাকা দিয়ে যাত্রীরা চলাচল করে।