কুড়িগ্রামের রাজারহাটে স্ত্রীর সঙ্গে চাচার পরকীয়া সহ্য করতে না পেরে ২সন্তানের জনক মিটুল হোসেন (২২) আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় রাজারহাট থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, উপজেলার ছিনাই ইউপির মহিধর খন্ডক্ষেত্র গ্রামের মহির উদ্দিনের পুত্র মিটুল হোসেন দীর্ঘদিন ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করার সুবাধে তার স্ত্রী মোছাঃ রওশনারা বেগম (১৯) চাচা শ্বশুর তছলিম উদ্দীনের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। বাড়ীতে এসে স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পেরে গত ২৮জুলাই রোববার রাতে মিটুল হোসেন তার শয়ন ঘরের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আতœহত্যা করে। পরদিন সোমবার সকালে বাড়ীর লোকজন আত্মহত্যার দৃশ্য দেখে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ফাঁস থেকে লাশ মাটিতে নামায়। টের পেয়ে প্রেমিক তছলিম উদ্দীন (৪২) দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাজারহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করে। এ বিষয়ে হত্যাকান্ডের শিকার মিটুল হোসেনের অপর চাচা মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ এনে তার ভাই তসলিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে রাজারহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান হক বুলু বলেন, শ্বশুর তসলিম উদ্দিনের সাথে ভাতিজা বউ রওশনারার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ার সর্ম্পক ছিল। ৩০জুলাই মঙ্গলবার এ ব্যপারে রাজারহাট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ কৃষ্ণ কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত সোমবার রাতে আত্মহত্যার বিষয়ে ইউডি মামলা এবং অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষনের চেষ্টায় তছলিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।