পাবনার চাটমোহরে প্রয়োজনীয় জনবল,কোন প্রকার লাইসেন্স ছাড়াই কোন প্রকার নিয়মনীতি না মেনে পরিচালনা করা হচ্ছে একাধিক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকস সেন্টার। ইতোপূর্বে গত ৬ জুলাই দুইটি ডায়াগনস্টিকস সেন্টার বন্ধ করে দেন পাবনার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মেহেদী ইকবাল। কিন্তু সেগুলো অবাধে চালানো হচ্ছে। পরিদর্শনকালে সিভিল সার্জন ২টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সরকারি নিয়মনীতি লংঘন করে পরিচালনা করায় তাৎক্ষনিকভাবে বন্ধের আদেশ প্রদান করেন। বন্ধকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টার হচ্ছে,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশের সিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সনি ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
এছাড়াও সিভিল সার্জন বে কয়েকটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকস সেন্টার পরিচালনায় সরকারি বিধি লংঘনের করার কারণ চিহ্নিত করে ত্রুটিসমূহ দূর করে আগামি ৭ দিনের মধ্যে তাঁর দপ্তরকে জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালককে পত্র প্রেরন করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে সেগুলো পরিচালিত হচ্ছে কোন নিয়মনীতি ছাড়াই।
সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে,চাটমোহরের কোন ক্লিনিকেই ডাক্তার ও নার্স নেই। ডায়াগনস্টিকস সেন্টারগুলো অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে পরিক্ষা-নীরিক্ষা করছে। হাসপাতালের আশপাশে অবস্থিত এসকল ডায়াগনস্টিকস সেন্টারে ইচ্ছেমতো টাকা আদায় করা হয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ব্যবহার এদের দৈনন্দিন কাজ। ডায়াগনস্টিকসের দালালরা সব সময় হাসপাতালে অবস্থান করে রোগি ভাগিয়ে নিয়ে আসে বলে অভিযোগ। ডায়াগনস্টিকস সেন্টারগুলোতে প্রতি নিয়ত রোগিদের প্রতারণা করা হচ্ছে। কোন প্রকার টেকনিশিয়ান না রেখেও দেদারছে এক্সরে,ইসিজি করে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। ডায়াগনস্টিকস সেন্টারগুলোতে প্রতি নিয়ত রোগিদের প্রতারণা করা হচ্ছে। কোন প্রকার টেকনিশিয়ান না রেখেও দেদারছে এক্সরে,ইসিজি করে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা।
ক্লিনিকগুলোতে সপ্তাহের একদিন বা দুইদিন বাইরে থেকে সার্জন নিয়ে এসে রোগিদের অপারেশন করা হয়। অনেক সময় সার্জন থাকলেও এনস্থিসিয়া চিকিৎসক ছাড়াই রোগির অপারেশন করা হয়। অতি সম্প্রতি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইকতেখারুল ইসলাম একটি কিèনিকে অভিযান চালিয়ে ক্লিনিক মালিক ও ডাক্তারেকে ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং ক্লিনিক সিলগালা করে দেন। এরপরও তারা অবাধে রোগির অপারেশন করে যাচ্ছেন। অথচ এসকল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকস সেন্টারের বিরুদ্ধে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। পাবনার সিভিল সার্জন এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের বেশী বেশী লেখার আহবান জানান এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণেল কথা বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার বলেন,ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা হচ্ছে। কোন অনিয়ম পেরৈই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।