নড়াইলের লোহাগড়ার ইতনা ইউনিয়নের মধুমতি বাওড়ের চরপাচাইল ঘাট এলাকায় প্রজনন মৌসুমে নিষিদ্ধ নেটজাল দিয়ে মাছ ধরায় অভিযান পরিচালনা করেছেন মৎস্য কর্মকার্তা। অভিযানে নেতৃত্বদেন লোহাগড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নিজেই। এ সময় পোড়ানো হয়েছে প্রায় ২৪ হাজার বর্গফুট নিষিদ্ধ নেটজাল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার তারাইল গ্রামের হরেণ বিশ্বাসের ছেলে অংশু বিশ্বাস(৪৭) এর নেতৃত্বে ৭/৮জনের একটি মৎস্যজীবি দল গত দু’সপ্তাহ ধরে মাছের প্রজনন মৌসুমে নিষিদ্ধ নেটজাল দিয়ে মাছ ধরে আসছেন। গোপন তথ্য পেয়ে বুধবার (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ দীন ইসলাম লোহাগড়া থানা পুলিশের সহযোগীতায় সেখানে অভিযান চালান। অভিযানে মাছ ধরার অবৈধ সরঞ্জামাদী জব্দ করে তাদেরকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন। এ সময় টেরপেয়ে নৌকায় থাকা কয়েকজন জেলে ট্রলারযোগে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। দোষ স্বীকার করে মৎস্যজীবি অংশু বিশ্বাস জানান,‘গত ১৫ দিন ধরে স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ফায়েক আলী খান ও রুস্তু‘ম আলী মোল্যার ছত্রছায়ায় অর্থের বিনিময়ে তারা এ অন্যায় কাজ চালিয়ে আসছেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ দীন ইসলাম বলেন, ‘কাপড়ের মত ঘনফাঁসের নিষিদ্ধ নেটজাল দিয়ে মাছধরায় দেশীয় ডিমওয়ালা মাছ, মাছের ডিম, রেনুপোনার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ফলে দেশীয় মৎস্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। নিষিদ্ধজাল দিয়ে মাছধরায় প্রায় ২৪ হাজার বর্গফুট নিষিদ্ধজাল পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ না ধরার শর্তে তাদের সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছে।