কক্সবাজারের বন্যা দুর্গত চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী ডাঃ মোহাম্মদ এনামুর রহমান এমপি। এ সময় তিনি বন্যার্তদের মাঝে জিআর চাউলও বিতরণ করেন। বুধবার প্রথমে সকালে মন্ত্রী চকরিয়া এবং বিকেলে পেকুয়া উপজেলায় বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। চকরিয়ায় পৌঁছলে মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ ফজলুল করিম সাঈদী। চকরিয়া পৌঁছে ত্রাণ মন্ত্রী এনামুর রহমান উপজেলার কাকারা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল ইউনিয়নসহ বন্যা দুর্গত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি বন্যার্তদের মাঝে জিআর চাউল বিতরণ করেন। এ সময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন সাংসদ জাফর আলম, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়ার ইউএনও নুরুদ্দীন মোহাম্মদ শিবলী নোমান। একই দিন বিকেলে পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে জনগণের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে ত্রাণমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান এমপি বলেন-১৯৯১সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে ভয়বাহ ঘূর্ণিঝড়ে দেড় লক্ষাধিক মানুষ মারা গেলেও বিএনপি নেত্রী ঘুম থেকে উঠেছিলেন দুপুর ১২টায়। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ অনাহারে ও কষ্টে মারা গেলেও বিএনপি নেত্রী বলেছিলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে সরকার কি করবে। বছরের পর বছর খোলা আকাশের নিছে মানুষ বসবাস করলেও বিএনপি নেত্রী শুধু নিজের সুবিধা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার প্রতিটি মানুষদের খবর রাখছেন। উপকূলীয় গ্রাম এলাকায় যারা বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বসতবাড়ি হারা হয়েছেন তাদেরকে পূর্ণাঙ্গ বসতবাড়ি করে দেওয়া হবে। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুব-উল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখেন, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন ভূঁইয়া ও টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পেকুয়া উপজেলা আলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। পরে পেকুয়া উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সাধারণ জনগণের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন মন্ত্রী।