গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নিয়ম রয়েছে ৩ বছর পর পর বাংলাদেশ কৃষকলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার। যা ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন নামেও পরিচিত। অথচ কক্সবাজার জেলা কৃষকলীগের ৩ বছরের কমিটি শেষ হয়নি ১২ বছর তথা এক যুগেও। মেয়াদোর্ত্তীণ কমিটি নিয়েই চলছে কার্যক্রম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম অঙ্গ সংগঠন কৃষকলীগের কক্সবাজার জেলার সম্মেলন আদৌ কখন হবে তাও জানেন না কেউ। এতে করে তৃণমূল ও নতুন নেতৃত্বে আসতে উন্মুখ হয়ে থাকা নেতারা হতাশায় নিমজ্জিত। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় জেলা কৃষকলীগে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটছে না বলেও দাবি অনেকের। তবে সম্মেলনের বিষয়ে কোন ধোঁয়াশা নেই বলে জানিয়েছেন কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা ও জেলা শাখার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। তাদের মতে উপরের নির্দেশ এলেই জেলা কৃষকলীগের সম্মেলন করা হবে। জানা যায়, ২০০৪ সালে কক্সবাজার সাংষ্কৃতিক কেন্দ্রে সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয়েছিল কক্সবাজার জেলা কৃষকলীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল। এতে সভাপতি নির্বাচিত হন আলহাজ¦ রশিদ আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আতিক উদ্দিন চৌধুরী। তাদের নেতৃত্বে কেন্দ্র থেকে ১০১ জনের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটিও অনুমোদন হয়েছে। অনুমোদিত এই কমিটির মেয়াদ ছিল ৩ বছর। কিন্তু ২০০৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত। কমিটির মেয়াদ ৩ বছর বাদ ছিল বাকী ১২ বছরেও হয়নি জেলা কৃষকলীগের সম্মেলন। জেলা সম্মেলন না হলেও সময়মত জেলা কৃষকলীগের আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভার কমিটির সম্মেলন করতে সক্ষম হয় জেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তাদের নেতৃত্বে জেলার সাংগঠনিকসহ ১০ উপজেলা ও ৪ পৌরসভায় কমিটি রয়েছে। তবে অনেক উপজেলা ও পৌরসভা কমিটির সাংগঠনিক তেমন কার্যক্রম চোখে না পড়লেও কক্সবাজার পৌরসভা, উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলা কৃষকলীগের কার্যক্রম জোরালো রয়েছে। কক্সবাজার পৌর কৃষকলীগের সভাপতি এরশাদুজ্জামান সুমন বলেন-দীর্ঘদিন ধরে জেলা কৃষকলীগের সম্মেলন হচ্ছে না সেটা ঠিক। কিন্তু জেলার বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে কৃষকলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম ঠিকমতই চলছে। তবে তিনি জানান-বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে যে উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সেই উন্নয়ন সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন। তাই সম্মেলনের বিকল্প কিছুই নেই। জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী বলেন-দেশের রাজনীতির নানা অবস্থা, বিভিন্ন নির্বাচনসহ নানা কারণে জেলা কৃষকলীগের সম্মেলন হয়নি। অবশ্যই সম্মেলনের জন্য কয়েক বার সময়ও নির্ধারন করা হয়েছিল। তিনি বলেন-কেন্দ্রীয় ভাবে যখনই সম্মেলনের কথা বলা হবে তখনই জেলা কৃষকলীগের সম্মেলন করা হবে। তবে জেলা কৃষকলীগের সভাপতি আলহাজ¦ আবদুর রশিদ সম্মেলনের কোন সম্ভাবনা নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক কমিটির সদস্য সচিব মোঃ রেজাউল করিম বলেন-দেশের নানা পরিবেশ পরিস্থিতি ও নির্বাচনের কারণে জেলা কৃষকলীগের সম্মেলন হয়নি। তবে আওয়ামী লীগের অভিভাবক সাংগঠনিক নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার যখনই যেভাবেই নির্দেশ দিবেন সেভাবেই কমিটি গঠন কিংবা সম্মেলনের উদ্যোগ নেয়া হবে।