সুজানগরে দুধের বাজারে ধস নেমেছে। উপজেলার অধিকাংশ হাট-বাজারে ২৫থেকে ৩০টাকা লিটার দরে দুধ বিক্রি হচ্ছে। এতে দুগ্ধ খামারী ও গাভী পালনকারী কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৬‘শ ৩০টি দুগ্ধ খামার এবং ২৩/২৪‘শ গাভী পালনকারী কৃষক রয়েছে। প্রতিদিন ওই সকল দুগ্ধ খামার এবং গাভী থেকে ৯৮হাজার ৬‘শ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। এ সব দুধের তিনভাগের দুইভাগ আকিজ, ব্র্যাক, আড়ং, কোয়ালিটি এবং প্রাণসহ বিভিন্ন কোম্পানিতে এবং একভাগ দুধ স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি হয়। উপজেলার বাড়ইপাড়া গ্রামের দুগ্ধ খামারী আব্দুর রহমান বলেন বর্তমানে দেশের বড় বড় মার্কেটে ওই সকল কোম্পানির দুধের চাহিদা কমে গেছে। সেকারণে কোম্পানির স্থানীয় চিলিং সেন্টারে আগের মতো বিক্রি হচ্ছেনা। তাছাড়া বর্তমানে দুধের উৎপাদনও অনেক বেশি। ফলে হাট-বাজারে চাহিদার তুলনায় দিগুণ দুধ আমদানি হওয়ায় দরপতন হয়েছে। উপজেলার গ্রামের ভবানীপুর গ্রামের গাভী পালনকারী কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ১০/১৫দিন আগেও প্রতি লিটার দুধ ৪০থেকে ৪৫টাকা দরে বিক্রি করেছি। কিন্তু বর্তমানে প্রতি লিটার দুধ ২৫থেকে ৩০টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে দুধ বিক্রি করা টাকায় গো-খাদ্যের খরচও হচ্ছেনা। হাট-বাজারে দুধের দরপতনের কারণে অনেকে ওই দুধ গ্রাম-গঞ্জে ফেরি করে বিক্রি করছে বলেও তিনি জানান। অনেকে আবার বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি আত্মীয়স্বজন বাড়ি পাঠাচ্ছে বলেও ভুক্তভোগী গাভী পালনকারী কৃষক বিল্লাল হোসেন জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জামাল উদ্দিন বলেন প্রতি বছর এ সময় দুধের উৎপাদন বেশি হয়। সেকারণে দাম কমে যায়। উৎপাদন কমে গেলে আবার দাম বৃদ্ধি পাবে।