তাহিরপুর উপজেলার হাওরপাড়ের কৃষক পরিবারের ঈদের সকল আয়োজন ধান বিক্রিকে ঘিরেই। পবিত্র ঈদুল আযহা-র বাকি মাত্র আর ৮ দিন। ঈদের আগেই সরকারিভাবে খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে পেরে খুবই আনন্দিত হাওরপাড়ের কৃষক পরিবারগুলো। বর্তমান ধানের বাজারধর ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা হলেও সরকারিভাবে এসব ধান ১০৪০ টাকা ধরে কৃষকদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে। ১ জন কৃষক ১টন ধানের বরাদ্দ পেয়েছেন এতে করে দেখা যাচ্ছে একজন কৃষক তার ধানের মূল্য মোট ২৬ হাজার টাকা পাচ্ছেন। আর এ কারনেই কৃষক পরিবারগুলোতে আনন্দ নিয়েই ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে।
উপজেলা খাদ্য গুদাম সুত্রে জানা যায়, সরকার এ বছর তাহিরপুর উপজেলায় ১ম ধাপে ৫৩১টন ধান ক্রয়ের বরাদ্দ দিয়েছে। তার মধ্যে ইতিমধ্যে কৃষকদের কাছ থেকে ৪৮০ টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই সাথে ২য় ধাপের বরাদ্দ থেকেও কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ চলমান রয়েছে।
আজ শনিবার সকালে উপজেলা খাদ্য গুদামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে কৃষকরা শত শত মন ধান নিয়ে আসছেন। এগুলো সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ সময় কথা হয় দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের মানিকখিলা গ্রামের কৃষক ইউনুস মিয়ার সঙ্গে তিনি বলেন,ঈদের আগেই গোদামে ধান বিক্রি করতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে। কারন এই টাকা দিয়ে ছেলে মেয়ে বউ-বাচ্ছা সহ পরিবারের সবার নতুন জামা কাপড় দিতে পারব।
উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের নবাবপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশাদ আলী জানান,ঈদের আগেই ধান দিতা পারতাছি টাকাও পাচ্ছি অনেক। এ জন্য খুব ভাল লাগছে।
উপজেলার বালিজুরি ইউনিয়নের পুরান বারুঙ্কা গ্রামের নজির মিয়া জানায়,বাজারধর ৬৫০ টাকা হইলেও, সরকার ১০৪০ টাকা করে আমরার কাছ থেকে ধান নিতাছে এর লাগি বর্তমান সরকারের প্রতি আমরা খুবই খুশি।
উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকতা মনধন চন্দ্র দাস বলেন, হাওরপাড়ের কৃষকদের দাবি ছিল ঈদের আগেই খাদ্য গোদামে ধান দিবে। আমরা এ লক্ষ্যে প্রতিদিনই কৃষক-কৃষানীর কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করছি। আশা করছি ঈদের আগেই বেশিরভাগ ধান সংগ্রহ করা হয়ে যাবে।