পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, প্রায় ৮হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে তিস্তা ব্যারেজসহ তিস্তা নদীর নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ প্রকল্পের মাধ্যমে তিস্তা নদী ও ব্যারাজ নতুন করে সাজানো হবে। তিস্তাপাড়ের দুঃখ লাঘব করা হবে।
শনিবার( ৩ আগষ্ট) দেশের বৃহত্তর সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পরিদর্শন শেষে অবসরের রেষ্ট হাউজ হলরুমে পাউবো কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন তিনি।
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী পাড়ের মানুষের দুঃখ লাঘবে খুব শীঘ্রই তিস্তা নদী খনন করে পানির গতিপথ সৃষ্ঠি করা হবে। যাতে করে বর্ষা ও শুকনো মৌসুমে সুফল ভোগ করতে পারে তিস্তা পাড়ের মানুষ। কয়কদিনে মধ্যে ভারতের পানি সম্পদ মন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিস্তা ব্যারাজের অটোমিশন সুইচ অচল বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৬ কোটি টাকায় তিস্তা ব্যারাজে ৫২টি গেটের অটোমেশিন সুইচের কাজ করে বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ার। তবুও যদি সুইচ অচল থাকে তবে বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারকে টাকা দেওয়া হবে না ।
ডেঙ্গু বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিজেকে আগে পরিস্কার থাকতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। যদিও গ্রামে ডেঙ্গু রোগী নেই, আছে সব শহরে। শহরের রাস্তার পাশেই ময়লা ফেলায় ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটছে। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। প্রত্যেককে নিজ নিজ জায়গা থেকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন বজায় রাখতে সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান, নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর চৌধুরী, অতিরক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) শাহিনুর আলম, নীলফামারী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) জোহরা সুলতানা জুথি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তিস্তা ব্যারাজ প্রকৌশলী রবিউল ইসলামসহ নীলফামারী ও লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।