লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে করেই জ¦রের প্রকোপ দেখা দিয়েছে।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ দিনে ডেঙ্গুজ¦রে আক্রান্ত ১২জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্রে নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদেরকে সাধারণ ওয়ার্ডে অন্য রোগীদের সাথে চিকিৎসা দেয়ায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আশংকাজনক বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানালেন বিভিন্ন রোগীর আত্মীয়স্বজনরা।
রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স তানিয়া আক্তার জানান,রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ¦রে আক্রান্ত কয়েকজন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ১২জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন, মোঃ আনোয়ার হোসেন (৩২), মোঃ রুবেল (২৭), মোঃ মুরাদ হোসেন (২৭), মোঃ ইব্রাহীম (১৮), মহসিন (২৪), মোঃ মাসুদ (৪০), মোঃ নাঈম (১৭), রাকিব হোসেন (২২),মোঃ হৃদয় (২২),মুন্নী (২৫)। এদের মধ্যে ৭জনকে তাদের আত্মীয়স্বজনরা চিকিৎসকরা অন্যত্রে নিয়ে গেছেন।পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী, রামগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের সার্বিক তত্বাবধানে শনিবার থেকে রামগঞ্জ পুলিশ ব্যারাক, সরকারী হাসপাতাল, উপজেলা পরিষদ এলাকা, বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন এলাকায় মশক নিধন ওষুধ ছিটিয়েছেন বলে জানা যায়।পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী বলেন, প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ না থাকায় পৌরসভার সম্পূর্ন এলাকাতে মশক নিধন ওষুধ ছিটানো সম্ভব না হলেও গুরুত্বপূর্ন স্থানগুলোতে ছিটানো হয়েছে।
রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ গুনময় পোদ্দার জানান, হসপিটালে বিভিন্ন রোগে আক্রান্তর সংখ্যা বেশি হওয়ায় বাধ্য হচ্ছি সাধারণ ওয়ার্ডে চিকিৎসা দিতে। আমরা ঐ রোগীদের আলাদা করে মশারী টানিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছি, এতে কোন সমস্যা হচ্ছে না।