পাবনা জেলার অন্যতম নারী শিক্ষা ক্ষেত্র চাটমোহর মহিলা ডিগ্রী কলেজ। দৃষ্টি নন্দন শহীদ মিনার শোভা পাচ্ছে কলেজ ক্যাম্পাসে। চারিদিকে বৃক্ষরাজির ছায়া। কোলাহলমুক্ত,মনোরম পরিবেশে অবস্থিত চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার সেরা এই বিদ্যাপীঠ ফলাফলের দিক দিয়ে সফলতা দেখিয়েছে। এই কলেজটি জাতীয়করণ করা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। চাটমোহরবাসীর দাবি সরকার বিভিন্ন উপজেলায় একাধিক কলেজকে সরকারিকরণ করেছে। সেক্ষেত্রে চাটমোহর মহিলা ডিগ্রী কলেজটিকেও সরকারিকরণ করা হোক।
চাটমোহর ডিগ্রী (অনার্স) কলেজ সরকারিকরণ করা হলেও নানা অনিয়ম,অধ্যক্ষ-শিক্ষক দ্বন্দ্ব,অধ্যক্ষ-উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরোধ,থানায় জিডি,উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের ও শিক্ষক পদ সৃজনের আত্তীকরণ ফাইলগুলো নিরাপত্তা হেফাজতে থানায় রাখার কারণে শিক্ষার পরিবেশ মুখ থুবড়ে পড়েছে। আজ অবধি এই কলেজের পদ সৃজনের জন্য শিক্ষকদের আত্তীকরণের ফাইল সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়নি। বিষয়টি গড়িয়েছে উচ্চ আদালত পর্যন্ত। এমতাবস্থায় চাটমোহরবাসীর দাবি চাটমোহর মহিলা ডিগ্রী কলেজটি সরকারিকরণ করা হোক।
১৯৯৬ সালে চাটমোহরের একদল শিক্ষিত তরুন,এলাকার বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তি জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় প্রতিষ্ঠা করেন চাটমোহর মহিলা কলেজ। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই পৌর শহরের মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এই কলেজটি সবার নজর কাড়ে। উদ্যোমী এক ঝাঁক শিক্ষকের পরিশ্রমে অল্পদিনেই কলেজটির সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। স্থান করে নেয় শিক্ষা ক্ষেত্রে। নিয়মানুবর্তিতা,শৃঙ্খলা আর পড়ালেখার পাশাপাশি ভালো ফলাফল কলেজটি সবার আস্থা অর্জন করে। বর্তমানে ৪২ জন শিক্ষক-কর্মচারী দ্বারা পরিচালিত কলেজের ছাত্রী সংখ্যা ৮৪০ জন। চলতি বছরের এইচএস পরীক্ষার ফলাফলে এই কলেজ চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। পাবনা-৩ আসনের সাংসদ আলহাজ¦ মোঃ মকবুল হোসেন কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি। তাঁর দিক-নির্দেশনায় কলেজটি এগিয়ে চলেছে।
চাটমোহরের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,শিক্ষক,সাংবাদিক,ব্যবসায়ীমজনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা গেলো তাঁরা চান এই অঞ্চলের নারী শিক্ষার অন্যতম এই কলেজটির সরকারিকরণ। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কলেজের অধ্যক্ষ শরীফ মাহমুদ সরকার বলেন,অনেক উপজেলাতেই দুটি কলেজ জাতীয়করণ করা হয়েছে বা হচ্ছে। আমাদের এই কলেজের সকল দিক থেকেই যোগ্যতা রয়েছে সরকারি হবার। সেক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী এবং আমাদের কলেজের সম্মানীত সভাপতি মাননীয় সাংসদ আমাদের চাওয়ার প্রতি গুরুত্ব দিলে এই অঞ্চলের নারী শিক্ষার দ্বার আরো প্রশস্থ হবে।