এক মাত্র ক্ষুদ্র ও কুটি শিল্প করপেরেশ ( বিসিক) নগরীতে মোট ৯৫টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে মেসার্স মাসুম পাপোষ,মুনির সেনাটারী ইন্ডঃ, আনোয়ার এন্টারপ্রাইজ, ইসলাম প্লাস্টিক পাউড়ার ইন্ডঃ, ভাই-বোন ফার্নিচার, রাব্বি ডেইরী ফার্ম, আকাশ ফার্নিচার মার্ট, সুচনা ববিন এ- ব্যাটা ইন্ডঃ ,আমেনা ইন্ডঃ, সোহেল রাবার ইন্ডঃ, জামান সেনেটারী এ- পাইল ইন্ডঃ, শাহীন কেমিক্যাল ইন্ডঃ, ইসলাম স্যানিটারী এ- পাইপ ইন্ডঃ, সৈকত এন্টারপ্রাইজ, আল-আমিন ফার্নিচার, আল মামুন কুন এ- ববিন ইন্ডঃ,রাশিদা নকশা এ- ফার্নিচার ইন্ডাষ্ট্রিজ, কিশোর ফার্নিচার, ফারুক পাপোষ ইন্ডঃ, জিসান গার্মেন্টস ও মেসার্স মুনির ফার্নিচার এ ২১ টি অবৈধ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো দুইদিন পর্যান্ত উচ্ছেদ অভিযান করেছেন ভ্রমান আদালত।
প্লাট বরদ্দ বার্ষিক রাজস্ব টাকা পরিষোধ না করায়, শিল্প উদ্যোক্তারা প্লটগুলো শিল্প প্রতিষ্ঠান নামে বরদ্দ নিয়ে আবাসনে ব্যবহার করা ও বিসিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের নিয়াম-নীতি অমাণ্য করায় ২০০৭ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংশ্লিষ্ট কতৃক্ষ অবৈধ ঘোষাণা করে শিল্প উদ্যোক্তাদের নোটশ প্রেরণ করলেও কোন কর্ণপাত না করায় আজ সকাল ১০টা থেকে এ ২১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের অভিযান শুরু হয়।
পুলিশ প্রশাসনে সহায়তায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালানয় উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলা বিসিক শিল্প নগরীর ম্যানেজার এ, বি, এম আবদুর রহমান ও উপজেলা বিসিক ম্যানেজার হারুনুর রশীদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। উচ্ছেদ অভিযানের ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ধারাবাহিকতা বজায় রাখা ও গণমানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আমাদের এই অভিযান। তবে উচ্ছেদ অভিযানের ক্ষতিগ্রস্তরা তারা শিল্প আইনের নিয়ান-নীতি অনুয়ায়ী আবেদন করলে আগামীতে নতুন ভাবে বৈধ ভাবে শিল্প প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ দেয়া যেতে পারে। জেলা শিল্পনগরীর ম্যানেজার তার বক্তব্যে বলেন ক্ষুদ্র, কুটির, মাইক্রো ও মাজারী এই ৪ প্রকার শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ও শিল্প বিকাশে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছেন।