চট্টগ্রামে ৪৮টি মামলার পলাতক আসামি জাহিদ হোসেন মিয়াকে (৬৭) পুলিশ গ্রেফতার করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে আদালতের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করায় এবং চেক দিয়ে অনেক ব্যবসায়ীর সাথে প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে এসব মামলা দায়ের হয়েছিল। শহরের ডবলমুরিং, হালিশহর এবং পাঁচলাইশ থানায় জাহিদ হোসেন মিয়ার বিরুদ্ধে এসব মামলায় সাজা ও গ্রেফতারি পরোয়ানাও রয়েছে। জাহিদ হোসেন মিয়া হাটহাজারীর খন্দকিয়া গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, জাহিদ হোসেন মিয়ার বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় ৯টি, হালিশহর থানায় ৬টি ও পাঁচলাইশ থানায় ৩৩টি মামলার সাজা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। জাহিদ হোসেনের শহরে ৮টি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- ডিসকভারি ট্রেডিং কোম্পানি, রেহানা ফিশারিজ, জেড ই টেলিকম, জাহিদ এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, জেড ই স্টিলস লিমিটেড, জাহিদ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, জাহিদ ফিশারিজ ও জেড ই স্টিলস লিমিটেড। ওদিকে গ্রামীণ ফোন লিমিটেড, মারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, ট্রান্সকম বেভারেজ লিমিটেড, রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ লিমিটেড, নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেড ও বাংলাদেশ অলিভ অয়েল লিমিটেড নামক ৬টি প্রতিষ্ঠানেরও পরিবেশক হিসেবে আছেন তিনি। জাহিদ হোসেন মিয়ার গ্রেফতারের পর পাওনাদারেরা টাকা আদায়ের জন্য থানায় এবং আদালতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।