নীলফামারীতে গত ৯ আগস্ট আরও ১৫ জনের ডেঙ্গু সনাক্ত করা হয়েছে। এনিয়ে গত ১৬ দিনে জেলায় ৬৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। সনাক্ত ওই ১৫ জনের মধ্যে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, জেলা সদরের চড়াইখোলা ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের রহমত আলী (২৭), ডোমার উপজেলার গোমনাতি ইউনিয়নের উত্তর আমবাড়ি গ্রামের মোমিনুর ইসলাম(১৭), একই গ্রামের মারিফুল ইসলাম(২০)। অন্যরা জেলার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা জানায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গত ৮ আগস্ট ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৫ জন। তাদের মধ্যে গত শুক্রবার পর্যন্ত জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের সুটিপাড়া গ্রামের মো. আবেদীন (৩০), কচুকাটা ইউনিয়নের বামনাবামনি গ্রামের আবদুল কাদেরের (১৬) চিকিৎসা চলে। অপর ৩ জনের মধ্যে ২ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর এবং ১ জন সুস্থ্য হওয়ায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জেলায় গত ২৫ জুলাই ২ জন ডেঙ্গু রোগি সনাক্ত হয়। এরপর থেকে গত ১৬ দিনে জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৭ জনে। এর মধ্যে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগির সংখ্যা ২৮ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৫ জন। সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ জন এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে ৮ জনকে। ওই হাসপাতাল থেকে রংপুর মেডিডেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করাদের মধ্যে রয়েছেন জেলার জলঢাকা উপজেলার কাঁঠালী ইউনিয়নের দক্ষিণদেশীবাই গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন (২২), একই উপজেলার মীরগঞ্জ ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্রামের লিমন হোসেন (১৯), জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের কেরানীপাড়া গ্রামের এরশাদুল ইসলাম (১৭), চড়াইখোলা ইউনিয়নের পশ্চিম কুচিয়ার মোড় গ্রামের পরিতোষ চন্দ্র রায় (২৮), জেলা শহরের গাছবাড়ী এলাকার আবদুল লতিফ (৪৫), ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম (২৫), জেলা শহরের শান্তিনগর গ্রামের ফারুক হোসেন (২২) ও সবুজপাড়া গ্রামের লিখন ইসলাম (১৮)কে। হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ গ্রামের সোহাগ হোসেন (১৯), পলাশবাড়ি ইউনিয়নের তরণীবাড়ি গ্রামের রবীন্দ্র নাথ রায় (৩২), লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের লক্ষ্মীচাপ গ্রামের রায়হান ইসলাম (১৭), জেলা শহরের মার্কাস মসজিদপাড়া গ্রামের মো. মুঈদ (১১), কচুকাটা ইউনিয়নের বাজিতপাড়া গ্রামের মঞ্জুরুল হক (২৮), চওড়াবড়গাছা ইউনিয়নের কিষামত চওড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম (২৫), একই ইউনিয়নের ভাঙ্গামাল্লি গ্রামের আলম মিয়া (২৬), রামনগর ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের আবদুর রহিম (২৫), চওড়াবড়গাছা ইউনিয়নের কিসামত দুলুয়া গ্রামের সুজন রায়(১৫), ডোমার উপজেলার ধরনীগঞ্জ গ্রামের হরিদাস রায় (২৯), জেলা শহরের গাছবাড়ি এলাকার পপি অক্তার (২০), পুরাতন স্টেশনপাড়া গ্রামের মহসীন আলী (১৮), রামনগর ইউনিয়নের বাহালীপাড়া গ্রামের মাজেদুল ইসলাম (৩০), একই গ্রামের দুলু মিয়া (২২) ও জেলা শহরের সরকারপাড়া গ্রামের আজিনুর রহমান (২২)। সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন বলেন, গত শুক্রবার সনাক্ত ১৫ জনসহ গত ১৬ দিনে জেলায় ৬৭ জন ডেঙ্গু রোগি সনাক্ত হয়েছে। তারা সকলে ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে এলাকায় এসেছে। তাদের মধ্যে কেউ হাসপাতালে, কেউ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে, কেউ সুস্থ্য হয়েছে, আবার অনেকে জেলার বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। তিনি বলেন, নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসার কোনো সমস্যা নেই। ডেঙ্গু যাতে না ছড়ায় সে ব্যাপারে জনগনকে সচেতন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা মাঠে কাজ করছেন। সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। জ¦র হলে সরকারি হাসপাতালে আসার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।