রাত পোহালেই ঈদ-উল আযহা। কোরবানীর এ ঈদের শেষ মূহুর্তে দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে জমে উঠেছে পশুর হাট। হাটে ভারতীয় গরু না ওঠায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর দেশি গরুর ভালো দাম পেয়ে খুশি খামারিরা।
গতকাল শনিবার জেলার বিভিন্ন পশুর হাটে ক্রেতাদের ভিড় যেমন ছিল, তেমনি প্রচুর দেশী গরু ছিল। আজও চলবে শেষ মুহূর্তে বেচা-কেনা। তবে হাটগুলোতে দেশি জাতের গরুর দাম বেশি হওয়ার কথা বলছেন ক্রেতারা।
ক্রেতারা জানান, জেলার ভালো মানের গরু সর্বনিম্ন ৭০ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। অথচ সেই গরু গতবার ছিল ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে ছিল।
দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে দেড় শতাধিক পশু বেচাকেনার হাট বসে। জেলার অন্যতম বৃহত্তম পশুর হাট রেলবাজার এবং কাহারোল।
আজ রবিবার শেষ দিনে দাম কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে ক্রেতারা আশা করছেন। তাই আজ সকল হাটেই ভীড় হবে।
দিনাজপুর জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহিনুর আলম জানান, দিনাজপুরে ঈদ উপলক্ষে ৮২ হাজার ৩৩০টি গরু ও ২৬ হাজার ছাগলের চাহিদা রয়েছে। তবে জেলার ছোট-বড় মিলিয়ে ৬০ হাজার ৫২০ জন খামার মালিক এবার কোরবানি উপলক্ষে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫টি গরু এবং ৭১ হাজার ২৪৯টি ছাগল প্রস্তুত করেছেন। জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৮৩ হাজার পশু দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়েছে।