মা নেই নেই বাবাও এমনকি ভাইও নেই যে অসহায় সুজিনা খাতুনের পাশে দাড়াবে। একদিকে বাবা মা না থাকার শোক অন্য দিকে ভাত কাপড়ের যুদ্ধে যেন পরাজিত এক সৈনিক। ঘরবাড়ি নেই নেই কোন খাবারও। ছোট্ট একটি কুড়ে ঘরে কোন রকম বসবাস করে সুজিনা খাতুন। ছোট্ট ঘরে আলো নেই,নেই কোন কোন বৈদ্যতিক লাইনও। ছোট একটি কুড়ে ঘরে কেউ না থাকায় একা একা আতঙ্ক আর ভয়ভীতির মধ্যে রাত্রি পার করতে হয় তাকে। তার জীবনটা যেন শুধুই অন্ধকার। সরকারী ভাবে কোন সুযোগ সুবিধা না পেয়ে এসবের আশা ছেড়েই দিয়েছে সে। স্থানীয়রা জানায়,সুজিনার পিতা হাসেম মন্ডল ২০১৪ সালে ও মা মানোয়ার খুতুন ২০১৭ সালে মারা যায়। বোন শশুর বাড়ি চলে গেছে। কেউই এখন তার খোঁজ নেই না। সুজিনা স্থানীয় এম, জি,জি,এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী তার বয়স ১৩ বছর। সুজিনা জানায়, পৃথীবিতে যার বাবা মা থাকেনা তার আপন বলে কেউ থাকেনা। তাই আমার আপন বলতে কেউ নেই। প্রতিবেশিদের সহায়তায় জীবন যাপন করি। কখনও অনাহারে কখনও অর্ধাহারে নীরবেই কেটে যায় আমার জীবন। প্রশাসন,জনপ্রতিনিধি কিংবা কোন বিত্তবান মানুষ আমাকে সহায়তা করলে আমি পড়ালেখা শিখে মানুষের মত মানুষ হতে চাই। শিক্ষিকা হওয়ার সপ্ন রয়েছে। আমার সাহায্যে যদি কেউ এগিয়ে আসতো তাহলে আমি আমার স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রানপণ চেষ্টা করতাম। আমি সমাজের বোঝা হতে চাইনা তাই একটু সহায়তা পেলেই হইতো জীবনের সপ্ন হইতো পূরন হতো। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,সুজিনা খাতুন যে কুড়ে ঘরে থাকে সেই ঘরে বৃষ্টির পানিতে একাকার হয়ে যায়। জামা কাপড় ভিজে যাওয়া অনেক সময় স্কুলেও যাওয়া হয়না। আবার প্লেটে খাবার রাখলেও সেগুলো পোকা মাকড় আর পিপড়ার দখলে চলে যায়। সুজিনার মানবেতর জীবন কি এভাবেই চলবে ?।