পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লক্ষ্মীপুরে তেওয়ারীগঞ্জ চর মনসা এলাকায় খামার শ্রমিক হাফিজ উল্লাহ্কে মারধর করে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে অর্ধকোটি টাকার টাকার মাছ নিধন করেছে সন্ত্রাসীরা। রোববার সন্ধার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এর আগে রোববার দুপরে তেওয়ারীগঞ্জ চর মনসা এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় সন্ত্রাসীরা ৪ একর নিয়ে রফিক হাওলাদার ২ টি মৎস্য খামার ফিসারীতে বিষ প্রয়োগ করে কয়েকজন সন্ত্রাসী। এ সময় বিষ প্রয়োগের ফলে রুই,কাতল, তেলাপিয়া, মৃগেল,সিলভার কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান খামার মালিক আনোয়ার হোসেন রিমন।
সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা: আনোয়ার হোসেন জানান,হাফিজ উল্লার মারধর শেষে হামলাকারীরা মুখে বিষ ঢেলে দেওয়ার তার জ্ঞানফিরে সুস্থ হতে সময় লাগছে। তবে তার চিকিৎসা চলছে
বলে জানান তিনি। এদিকে এ ঘটনায় খবর পেয়ে পুলিশের এস আই মোরশেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শ করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, লক্ষ্মীপুরে তেওয়ারীগঞ্জ চর মনসা এলাকায় ২ মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ করে রুই,কাতল, তেলাপিয়া, মৃগেল,সিলভার কার্পসহ অর্ধ কোটি টাকার মাছ নিধন করে। এর আগে খামার শ্রমিক হাফিজ উল্লাহ্কে মারধর করে সন্ত্রাসীরা। দীর্ঘদিন যাবৎ খামার মালিক আনোয়ার হোসেন রিমনদের পরিবারদের সাথে শত্রুতা করে আসছে একই এলাকার আবুল কাশেম,শিবলু,ফয়সাল ও আজিম। রিমনকে খামারে না পেয়ে খামার শ্রমিক হাফিজ উল্লাহ্কে মারধরসহ তাকে হত্যর জন্য মুখে বিষ ঢেলেও দেওয়া হয়।পরে তারাই আবার খামারে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন। এ ঘটনায় এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে এ ঘটনায় আবুল কাশেম,শিবলু,ফয়সাল ও আজিম জড়িত না থাকার কথা উল্লেখ করে বলেন,
বিষ প্রয়োগ করে মাছনিধন কথা বলে অন্যায় ভাবে তাদের ফাসানো হচেছ।
সদর থানাও ওসি তদন্ত মোসলে উদ্দিন জানান, বিষ প্রয়োগ করে মাছনিধনের ঘটনার খবর পেয়ে খামার পরিদর্শনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে বিষ প্রয়োগ করে এতগুলো মাছ মারা দু:খ জনক। তবে এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থরা থানায় এজহার দিয়েছেন। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। আইগতব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।