সৈয়দপুরে অসামাজিক কাজ বন্ধের দাবিতে ৬ গ্রামের সাড়ে তিন’শ লোকের গণস্বাক্ষর সম্বিলিত চিঠি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বকশাপাড়া বাগানবাড়ি এলাকায় সরকারি খাস জমিতে বেড়া ও টিন দিয়ে ছোট ছোট ৫০ থেকে ৬০টি ঘর নির্মাণ করেন ওই এলাকার আমিনুল ইসলাম ও তার ভাই আতাউর রহমান। যে বাড়িতে চলছে অসামাজিক কাজ ওই এলাকাটি পড়েছে কোথাপাড়া (আদানীপাড়া) পৌরসভা ও কামারপুকুর ইউনিয়নের নিয়ামতপুর। নির্মাণকৃত ওই ঘরগুলোতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছেন কতিপয় মহিলা। তারা ওই ঘরগুলো ভাড়ায় নিয়ে প্রকাশ্যে অসামাজিক কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের কারণে ওই এলাকায় নিত্য-নতুন, চেনা-অচেনা মানুষের আগমন ঘটছে। তাদের কাজে বাধা দিতে গেলে হতে হয় অপমানিত-লাঞ্ছিত। অনেকে তাদের দ্বারা হয়েছেন মিথ্যে মামলার আসামি। দীর্ঘদিন থেকে ওই অসামাজিক কাজ চলে আসলেও এলাকার লোকজন তা দমন করতে পারছেন না মামলার ভয়ে। ওই এলাকায় রয়েছে একটি বড় মসজিদ ও মহিলা মাদ্রাসা। ওই কাজে জড়িত নারীদের খোলামেলা চলাফেরার কারণে নষ্ট হচ্ছে এলাকার সুন্দর পরিবেশ। তাই এলাকার লোকজন পৌর প্যানেল মেয়র-৩ কাজী জাহানারা বেগমকে বিষয়টি অবহিত করেন। প্যানেল মেয়র বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বায়তুল মোর্কারম মসজিদ কমিটির সভাপতি মনজুর ইসলামকে লাঞ্ছিত করেন। সেই সাথে অন্য একজন মানুষের মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করেন। পরে এ বিষয়টি নিয়ে সৈয়দপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এলাকার সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, অসামাজিক কাজ বন্ধ এবং সরকারি খাস জমি লিজ যদি থাকে তা বাতিলের দাবি নিয়ে ৬ গ্রামের সাড়ে তিন’শ লোকের স্বাক্ষরিত চিঠি প্রদান করা হয়েছে জেলা প্রশাসক নীলফামারী, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দপুর, সিনিয়র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দপুর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দপুর, সহকারি কমিশনার (ভূমি), ওসি সৈয়দপুর থানা ও কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর। মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. মনজুর ইসলাম বলেন, বর্তমানে আমরা ভদ্র পরিবারগুলো এ এলাকায় বসবাস করতে পারছি না। কারণ ওই আমিনুলের বাড়িতে যে ভাবে অসামাজিক কাজ চলছে তাতে এলাকার পরিবেশ দিনদিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটি দ্রুত সময়ে বন্ধ করা না গেলে আমাদের নতুন প্রজন্ম বিপদগামী হবে। তাই এলাকার সুন্দর পরিবেশ রক্ষার্থে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।