লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরাজীর বিরুদ্ধে ঈদে দুস্তদের জন্য বরাদ্ধকৃত ভিজিএফের চাউল বিরতরন না করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার বিচারের দাবীতে মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বিক্ষোভ করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ট্যাক কর্মকর্তা মো. টিপু সুলতান ঘটনাস্থলে এসে ৭৭ বস্তা চাউল জব্দ করে এবং গুদাম সিলগালা করে দেয়া হয়।
জানাগেছে, ঈদে আগে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে দুস্থ্যদের জন্য ওই চাল বরাদ্ধ দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ঈদের আগে অসহায় ও দুস্থ্যদের জন্য বরাদ্ধকৃত চাউল বিতরণ না করে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা ৭৭ বস্তা চাউল আত্মসাৎ করার সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে পাহারা বসায়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হয়। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর মো.সালেহ (মিন্টু ফরাজী)সহ জড়িতদের বিরদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তারা।
এ দিকে দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু জাফর মো. সালেহ (মিন্টু ফরাজীর) এখবরের পর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ রাখায় তার সাথে যোগাযোগ না গেলেও ওই ইউপির সচিব মো. তসলিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ৭৭ বস্তা চাউল বিতরন না করে গুদামে রক্ষিত ভিজিএফের চাউল মজুদ রাখা হয়েছে।
ট্যাক কর্মকর্তা মো. টিপু সুলতান জানান, এসব চাউল ঈদের আগে অসহায় ও দুস্থ্যদের মধ্যে বিলি করার কথা ছিল। কিন্তু চেয়ারম্যান এসব চাউল বিতরণ করেনি। প্রাথমিক ভাবে ৭৭ বস্তা ভিজিএফের চাউল জব্দ করে গুদামে সিলগালা করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ জানান, ঈদে আগে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে দুস্থ্যদের জন্য ওই চাল বরাদ্ধ দেওয়া হয়। দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু জাফর মো. সালেহ (মিন্টু ফরাজীর) কি কারণে চাউগুলো বিতরণ করেন নাই। তবে ঘটনাস্থলে ট্যাক অফিসারকে পাঠানো হয়েছে। সত্যতা মিললে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঈদের আগের এসব চাউল বিতরন না করে গুমামে রাখার এখতিয়ার নেই বলেও জানান তিনি।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম বানু শান্তি জানান,ঘটনাস্থলে ট্যাক অফিসারকে পাঠানো হয়েছে। সত্যতা মিললে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঈদের আগের এসব চাউল বিতরণ না করে গুমামে রাখার এখতিয়ার নেই বলেও জানান তিনি। ওই চাউল বিতরন করার জন্য চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যেদের বলা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।