জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করে বাংলাদেশ। বুধবার জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ মনে করে যে ভারতীয় সরকার কর্তৃক (সংবিধানের) ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সর্বদা নীতিগত বিষয় হিসেবে সমর্থন জানিয়েছে যে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি উন্নয়নের বিষয়টিও সব দেশের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।’গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে ভারত। এর মাধ্যমে রাজ্যটিকে দ্বিখণ্ডিত করে ‘জম্মু ও কাশ্মীর’ এবং ‘লাদাখ’ নামে বিভক্ত করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পরিণত করে নরেন্দ্র মোদি সরকার।বিশেষ মর্যাদা বাতিলের আগে সম্পদের মালিকানা ও মৌলিক অধিকারের বিষয়ে নিজেরাই নীতি প্রণয়ন করতে পারত কাশ্মীরিরা। এমনকি রাজ্যের বাইরের আরো সেখানে জমি কেনাও নিষিদ্ধ ছিল। পাশাপাশি নিজেদের সংবিধান, আলাদা পতাকা ও আইন প্রণয়নের স্বাধীনতা ছিলও তাদের। শুধু পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও যোগাযোগ ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে।কাশ্মীরিরা মনে করছে, বিশেষ মর্যাদা বাতিলের মাধ্যমে হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপি সরকার কাশ্মীরের বাইরের মানুষদের সেখানে জমি কেনার অধিকার দিয়ে সেখানকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্যকেই পাল্টে দিতে চায়।এদিকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের আগের দিন গত ৪ আগস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীরকে নজিরবিহীন নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়। নিরাপত্তা বজায় রাখার স্বার্থে কাশ্মীর উপত্যকায় টেলিফোন লাইন, ইন্টারনেট ও টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখা হয় এবং লোকজনের অবাধ চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়।