আজ বুধবার বেলা সাড়ে দশটায় কামারখালী থেকে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফ এর জন্মস্থান রউফ নগর (সালামাতপুর) গ্রাম পযর্ন্ত রাস্তাটি ও সেখানে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ স্মৃতি যাদুঘর যাতায়তের একমাত্র রাস্তাটিকে মধুমতি নদীর ভাংগনের কবল থেকে রক্ষা ও রাস্তা নির্মানের দাবীতে মধুমতি নদী সংলগ্ন গন্ধখালী ইউনুস মৃধার বাড়ির সামনে এলাকাবাসীর আয়োজনে এক মানববন্ধন পালন করা হয়।
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের রউফ নগর (সালামাত পুর) অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ স্মৃতি যাদুঘর যাতায়াতের এবং ওই এলাকার প্রায় ৮ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার নদী ভাঙ্গন রোধ এবং রাস্তা নির্মাণের দাবীতে এলাকবাসী ঘন্টা ব্যাপী এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
জানা যায়, ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কামারখালী ইউনিয়িনের কামারখারী বাজার থেকে রউফনগর বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি যাদুঘর পর্যন্ত চলে গেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন কামারখালী-রউফনগর সড়ক। এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে গন্ধখালী, রউফনগর, নাওড়াপাড়া, দয়ারামপুর, জারজারনগর, চর গয়াসপুরসহ বেশ কয়েক গ্রামের মানুষ। ওই সড়কের গন্ধখালী পূর্বপাড়া এলাকায় এবং রউফনগর গ্রামে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি যাদুঘর থেকে ৫/৬‘শ মিটার দূরেও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনের ফলে ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফের বড় বোন জোহরা বেগম, কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. লুৎফর রহমান, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এনামুল হক মাহাবুব, আরমান হোসেন বাবু, আমিন উদ্দীন জিহাদী, জুয়েল মিয়া প্রমুখ।
মাবনবন্ধন কর্মসূচিতে এলাকাবাসী সরকারের নিকট দাবী জানিয়ে বলেন, এলাকার ৮গ্রামের মানসুষের চলাচলের এবং বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফের স্মৃতি যাদু ঘরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি এবং মধুমতি নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থার দাবী জানান।