ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নে কোমরপুর গ্রামে জমি আছে ঘর নেই বিশেষ প্রকল্পের বরাদ্ধের ঘর গরীবের জন্য বরাদ্ধ হওয়ার কথা খাকলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সাথে যারা জড়িত অর্থের বিনিময়ে গরীবের ঘর ধনীদের বাড়িতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আবার অনেক জনপ্রতিনিধি ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গরীবের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েও ঘর দিচ্ছেন না অভিযোগ উঠেছে। তাদেরকে ঘুরাচ্ছেন।
আজ বুধবার উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের সালামাতপুর ও কোমরপুর গ্রামরে দুটি দুস্থ্য পরিবারের কাছ থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
কোমরপুর গ্রামের লালন মিয়ার স্ত্রী জাকিয়া বেগম অভিযোগ করে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, একখান ঘরের আশায় ৬/৭ মাস আগে আশা সমিতি থেকে ১০ হাজার টাকা লোন নিয়ে ওয়ার্ড সংরক্ষিত মেম্বরের স্বামী আকরামকে দেয়। কিন্তু ঘর সে আমারে না দিয়ে হাছলা গ্রামের ৫ একর জমির মালিক ইয়াকুব ফকিরের ছেলে প্রবাসী বদির ফকিরকে ঘর দিয়েছে। বদিরের বাড়িতে বড় দুইটি ওয়াল সেট টিনের ঘর রয়েছে।
সালামাত পুর গ্রামের এক অসহায় আকিদুলের স্ত্রী জেলেখা অভিযোগ করে বলেন, আমার বাড়িতে দুই শতাংশ জমির ভিতর ভাঙ্গাচুরা একটি খুপরি ঘরে বসবাস করি। স্থানীয় মেম্বর চেয়ারম্যান সকলের কাছে আবেদন নিবেদন করেও কোন ঘর পাইনি। কিন্তু অনেক টাকা পয়সা নিয়ে বড়লোকের বাড়ি থাকা সত্বেও স্থানীয় ইয়াকুব ফকিরে ছেলে বিদেশে চাকুরী করে তাকে সরকারি ঘর দেওয়া হয়েছে।
ঘর প্রাপ্ত ইয়াকুব ফকিরের ছেলে বদির ফকিরের স্ত্রী মনিরা বেগম জানান, তার স্বামী বদির ফকির গত দুই বছর আগে বিদেশে চাকুরি করছেন।
অভিযুক্ত স্থানীয় সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের স্বামী মো. আকরাম হোসেন ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।