রংপুরে ২৫ সপ্তাহের অন্তঃস্বত্তা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীর আদালতে জবানবন্দি শেষে মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় রংপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক স্নিগ্ধা রাণী চক্রবর্তি। ঘটনার সাথে অভিযুক্ত আসামি বিষপানে আত্মহত্যা করায় মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আসামীর লাশ ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলনের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ও জজ আদালতের পিপি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরপিএমপির হাজিরহাট থানার এসআই ফেরদৌস জানান, রংপুর মহানগরীর নজিরের হাটের রাধাকৃষ্ণপুর রহমতপাড়ার মেয়েটির মা পাশ্ববর্তি জুয়েলের মালিকানাধীন সোনার বাংলা নার্সারি ও এগ্রোবাংলা লিমিটেডের কেয়ারটেকার তোফাজ্জল হোসেনের রান্নার কাজ করতো। মায়ের কাজ করার সুবাদে কন্যা রাধাকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী (১১) সেখানে যাতায়াত করতো। মায়ের সাথে মেয়েটি ওই নার্সারিতে বিভিন্ন কাজকর্ম করতো। এরইমধ্যে মেয়েটি অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে। বিষয়টি পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর দেখা যায় মেয়েটি ২৫ সপ্তাহের অন্তঃস্বত্তা। এরপর মেয়েটিকে নজিরেরহাটে ল্যাপরোসি মিশনে ভর্তি করা হয়। এরপর মেয়ের মা ১৮ আগস্ট হাজিরহাট থানায় অজ্ঞাতনামাদের অভিযুক্ত করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা আরো জানান, ধর্ষণের ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে অভিযুক্ত তোফাজ্জল হোসেন বিষক্রিয়ায় মারা গেছে। তার মৃত্যু কিভাবে হল তা জানার জন্য লাশের ময়না তদন্ত প্রয়োজন। এজন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
সোনারবাংলা নার্সাসি এ- এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মালিক জুয়েল জানান, তিন বছর থেকে তোফাজ্জল নার্সারির সব বিষয় দেখাশুনা করে আসছে। ১৬ জুলাই শুক্রবার খবর পাই তোফাজ্জল বিষ খেয়েছে। সাথে সাথে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যাওযা হয়। সেখানে তিনি মারা যান। এরপর ময়না তদন্ত ছাড়াই তাকে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। রংপুর জজ আদালতের পিপি আবদুল মালেক জানান, এ ঘটনার মামলার বাদি মেয়েটির মা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-১ শিশুটিকে আনেন। আদালতের বিচারক স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তি তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।