লক্ষ্মীপুরে ব্যবসায়ী আলমগীরকে গলা কেটে হত্যা করে ৬ লাখ লুটের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার ভোররাতে সদর উপজেলার মান্দারী বাজার এলাকা থেকে রুবেল ও সাগরকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তাদের জবানবন্দি অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ জব্দ করা হয়েছে সিএনসি চালিত অটোরিকশাটি। পুলিশের নিকট গ্রেফতারকৃত মেহেদী হাসান রুবেল প্রকাশ হাশেম (৩৩) সদর উপজেলার পশ্চিম বটতলী এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলেও সিএনজি চালক সাগর (২০) একই উপজেলার দক্ষিণ মান্দারী গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানায়,ডিবির ওসি মো.মোক্তার হোসেনের নেতৃত্বে সদর উপজেলার মান্দারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে রুবেল ও সাগর গ্রেফতার করা হয়। তারা ব্যবসায়ী আলমগীরকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে।তারদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও গাড়ী এবং আড়াই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।পুলিশ আরো জানান,ঘটনার রাতে ব্যবসায়ী আলমগীর পাওনাকৃত ৬ লাখ টাকা রুবেলের নিকট থেকে নিয়ে বাড়ি উদ্দেশ্যে রায়পুর রওনা হয়। পথিমধ্যে রুবেল ও তার সহযোগী ফয়েজ সিএনজি চালিত অটোরিকসা থামিয়ে তার সাথে উঠে মাঝপথে গলাকেটে হত্যা করে টাকা লুটে নেয়।পরে তারা সিএনজি যোগে আলমগীরের লাশটি সদর উপজেলার কাজীর দিঘীর পাড় এলাকায় একটি পুকুরে ফেলে দেয়।পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজন সূত্রে জানাযায়,রায়পুর বাজারের ব্যবসায়ী আলমগীর সদর উপজেলার মান্দারী বাজারের রুবেলের কাছ থেকে ৬ লাখ পাওনা টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই টাকা লুটে নিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
সদর থানার ওসি এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া জানান,ব্যবসায়ী গলা কেটে হত্যার ঘটনায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনায় পুলিশের কয়েকটি টিম বিভক্ত হয়ে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযানে নামে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো:মোক্তার হোসেন জানান,ব্যবসায়ী আলমগীর হত্যা মূল আসামি রুবেল ও সিএনজি চালক সাগরকে গ্রেফতার ও টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে একটি গাড়ী। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে। গ্রেফতাকৃত দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে প্রেরণ করা হয়েছে।