নওগাঁর পোরশা উপজেলার গাঙ্গুরিয়া দক্ষিনপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র আবদুর রহমানের ছেলে অন্ধ প্রতিবন্ধি হাফেজ ফয়জুল্লাহ্ (২০) দৃষ্টি ফিরে পেতে চায়। ফয়জুল্লাহ জানান, বাবা আবদুর রহমানের দুই স্ত্রীর ৫সন্তানের মধ্যে ১ম স্ত্রীর একমাত্র সন্তান সে। তার মা মারা যাওয়ার পরে Ÿাবা দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণে প্রতিবন্ধি তাকে দখেভাল করেনি। ফলে সে খালার কাছে থেকেই বড় হয়। জন্মের পর থেকেই ডান চোখে একটু দেখতে পেলেও তার বাম চোখ নষ্ট। তার পরেও স্থানীয় চকগোপাল উমর ইবনুল খাত্তাব (রা:) মাদ্রাসা থেকে ৩০পারা কোরআনে হফেজ হয়েছেন ফয়জুল্লাহ্। স্বপ্ন ছিল কোরআনে হাফেজ হয়ে কোন একসময় চাকুরী ও সংসার করবেন। কিন্তু সে স্বপ্ন তার পুরন হয়নি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ডান চোখ দিয়ে দেখা তার বন্ধ হয়ে যায়। সে আরও জানায়, বিভিন্ন সময় চেয়ে চিন্তে তার চোখের চিকিৎসা করলেও ভাল হয়ে উঠেনি তার চোখ। শারিরিক গঠন ঠিক থাকলেও এখন তার ডান চোখটিও প্রায় অন্ধ। কয়েক মাস পূর্বে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে তার চিকিৎসা করলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ তার দু’চোখেরই সানি অপারেশনের কথা বলেছেন বলে জানান ফয়জুল্লাহ। এ ছাড়া তার কোন উপায় নেই বলেন চিকিৎসকগণ। ফলে তার চোখ চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার দরকার। ফয়জুল্লাহ জানায়, এত ছোট বয়সে তার চোখ নষ্ট হওয়ায় ভবিষ্যত নিয়ে সে চিন্তিত। তার চোখ ভাল হলে সে কোরআনে হাফেজ হওয়ায় কোন এক মাদ্রাসায় চাকুরী করবেন বলে এখনও স্বপ্ন দেখেন। এজন্য সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিরা সহায়তা করলে ভবিষ্যতে তাকে অন্যের কাছে হাত পাততে হতোনা। মানুষের কাছে যেন তাকে চেয়ে খেতে না হয় এই তার ব্রত। হাফেজ ফয়জুল্লার সম্মন্ধে নওগাঁ পল্লি বিদ্যুৎ-২ এর পতœীতলা জোনের সভাপতি আনিসুর রহমান জানান, অন্ধ গরিব ছেলেটি খুব মেধাবী। তারা তাকে বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করছেন। এভাবে সবাই আমরা দরিদ্র অন্ধ ছেলেটি চিকিৎসায় সহযোগীতা করলে তার দৃষ্টি শক্তি সে ফিরে পাবে এবং ভবিষ্যতে নিজ সংসার সহ তার যাবতীয় স্বপ্ন সে পুরন করতে পারেবে। এজন্য তিনি সকলকে এগিয়ে আসার অনরোধ জানান। ফয়জুল্লাহকে সাহায্য পাঠানোর মাধ্যম- ইসলামি ব্যাংক এজন্ট ব্যাংকিং সরাগাছি মোড় শাখা হিসাব নং-২০৫০৭৭৭০২০১৯২০৭০৯ এবং বিকাশ নং-০১৭৫৩-৯২১১২১(খালাতো ভাই শামীম)।