গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে হরিরামপুর ইউনিয়নের রামপুরা দ্বি-মুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ৭ শ্রেণীর ছাত্রীর বুকে খুর মেরে স্তন কেটে দেওয়ার অভিযোগে থানায় মামলা।
জানা গেছে, উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের কুঞ্জ নাকাই গ্রামের খন্দকার ফজলুর রহমানের বিবাহিত পুত্র সন্ত্রাসী আশিকুর রহমান আশিক পার্শ্ববর্তী হরিরামপুর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামের কাদেম আলীর মেয়ে রামপুরা দ্বি-মুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী (১৪) কে দীর্ঘদিন যাবৎ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার ওই কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২৫ আগস্ট রবিবার রাত আনুমানিক ২ টার দিকে সন্ত্রাসী আশিক জানালার ফাঁক দিয়ে ছাত্রীর বুকে খুরাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আশংকাজনক অবস্থায় এলাকাবাসী রক্তাক্ত অবস্থায় যখমী ওই মেয়েটিকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। কর্তব্যরত ডাক্তার তার কাঁটা স্থানে ২৮ টি সেলাই দিয়ে রক্ত ক্ষরণ বন্ধ করে। বর্তমানে তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের ২৬ নং ওয়ার্ডের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এ বিষয়ে মেয়ের বাবা গোবিন্দগঞ্জ থানায় আশিকুর রহমান ও সহযোগী রামপুরা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আজাদুল ইসলাম সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনের নামে গত ২৬ আগস্ট ৪৬ নম্বর মামলা দায়ের করে। সোমবার দিনেই গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম অভিযুক্ত আশিককে ও আজাদুলের মা কমেলা বেগমকে আটক করে।
এদিকে গোবিন্দগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান এ বিষয়ে জানিয়েছেন ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে খুরাঘাতের অভিযোগ সন্দেহমূলকভাবে আশিকসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি জানান, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে, তদন্ত স্বাপেক্ষ জরিত সকলের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এ দিকে পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় রামপুরা দ্বি-মূখী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও এলাকাবাসী ওই ঘটনায় জরিতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে।