লক্ষ্মীপুরের রামগতির উপজেলার আলেকজান্ডার সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসানকে বেধম মারধর ও শিক্ষার্থীর সামনেই বেঞ্চের নিছে বসিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক বদরুল আলমের বিরুদ্ধে।গত দু’দিনেও ছেলের জ্ঞান না ফিরায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। তবে বর্তমানে ঢাকা ইবনেসিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলে সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানাগেছে। এদিকে এ ঘটনায় তার মা রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে বিচার চেয়ে আবেদন করেছে।
জানাগেছে,প্রতিদিনের মত অষ্ঠম শ্রেণির ছাত্র রাকিবুল হাসান রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে আলেকজান্ডার সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে কোচিং ক্লাশে যায়।ওইদিন শিক্ষক বদরুল আলমের ক্লাশে সহপাঠিদের সাথে কথা বলাকে কেন্দ্র করে তাকে বেধম মারধর করে বেঞ্চের নিছে মাথা ঢুকিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরে শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান ক্লাশে অচেতন হয়ে পড়ে। তারসহ পাঠিরা তাকে দ্রুত রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্য্র এ ভর্তি করেন।এর পর ওই শিক্ষার্থী জ্ঞান না ফিরায় তাকে নোয়াখালী প্রাইম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।সেখানে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা:ফারুক হোসেনের তত্বাবধানেও ভাল না হওয়ায় মঙ্গলবার ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার প্রেরন করা হয় বলে রাকিবের মা রাবেয়া বেগম।
এদিকে আহত রাকিবুল হাসানের দু’দিনেও জ্ঞান না ফিরায় তার মা (রাবেয়া বেগম) কোচিং ক্লাশে নির্যাতনের বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সরকারি দপ্তর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও প্রধান শিক্ষকসহ রামগতি উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে আবেদন করে তাদের নিকট গিয়ে বিচারে আর্তনাদ করেন। এদিকে শিক্ষার্থীর সহপাঠিরা শিক্ষকের মারধরের বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে ক্লাস বর্জনসহ এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবী করে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
এদিকে অভিযুক্ত বদরুল আলম জানান, তিনি মারধর করেন নাই। তবে শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসানকে পিঠে আস্তে থাপ্পর মেরে বেঞ্চের নিছে মাথা দিয়ে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনার পর তার খরছে চিকিৎসা করানো হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।
রামগতি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান,শিক্ষার্থী মারধরের বিষয়টি খুবই দু:খজনক। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সকালে অভিযোগ পেয়েছি ,বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল জানান, আলেকজান্ডার সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসানের মারধরের বিষয়টি আমারা জেনেছি। তার চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি তদন্তকরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।