লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে শিক্ষার্থী মারধরের ঘটনায় আলেকজান্ডার সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক বদরুল আলমের আটক করে রামগতি থানা পুলিশ। বুধবার দুপুরে আটকের পর আহত শিক্ষার্থীর মা ও পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষকের মধ্যে সমঝোতা হলে ২ ঘন্টাপর মুক্ত শিক্ষক বদরুল আলম। এদিকে শিক্ষকের পিটুনিতে ৩ দিন ধরে অচেতন থাকার পর এখন কথা বলতে শুরু করেছে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে ভর্তিরত রামগতির আলেকজান্ডার সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনির শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান। এ ছাড়া স্কুলের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি দাবি করে বিক্ষোভ করে।
এর আগে ক্লাস চলাকালে সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলায় শিক্ষক বদরুল আলম তাকে মারধর করে বেঞ্চের নিচে মাথা দিয়ে রাখেন। এতে অচেতন হয়ে পড়ে সে। গত রোববারের এ ঘটনার পর থেকে ছেলেটির জ্ঞান না ফেরায় মঙ্গলবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে এ ঘটনার বিচার চেয়ে রাকিবুল হাসানের মা রাবেয়া বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও),উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা,স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও রামগতি উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেন।
বর্তমানে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। ওই হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: মঈনুল সরকার জানিয়েছেন, তার অবস্থা এখনও শঙ্কামুক্ত নয়।সামন্য দু’একটি কথা বলতে পারে। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে ২ থেকে তিন মাস সময় লাগবে।
অভিযুক্ত শিক্ষক বদরুল আলম জানান, শিক্ষার্থীকে ঘিরে যা হয়েছে। মিটে গেছে। শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান তার ছাত্র উল্লেখ করে তিনি আরো জানান,চিকিৎসায় যা খরচ হবে তা তিনি মিটিয়ে দিবেন। বিষয়টি শিক্ষার্থীর মা রাবেয়া বেগম মেনে নিয়েছেন।
শিক্ষার্থীর মা রাবেয়া বেগম জানান,তার সন্তান এখন তিন দিন পর কথা বলতে পাড়ছে। বিষয়টা শুনে শিক্ষক বদরুলের বিরুদ্ধে রাগ ও অভিযোগ ভুলতে বসেছি। তবে শিক্ষকের নিকট থেকে এখনো পর্যন্ত কোন ক্ষতিপূরণ নেইনি। এমনটি থানায় ওসি ডেকে নিয়ে মৌখিক অভিযোগ শুনেছেন। পরে তিনি মামলা করতে বল্লে চিকিৎসা শেষ না হওয়ায় ও রাকিবের পরবর্তী পরিস্থিতি কি তা না দেখে মামলা করা হয়নি। তবে ওসির কথা মতো তাদের লিখিত একটি জিডি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় সুস্থ বিচার ও প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা কামনা করেছেন তিনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, শিক্ষার্থীকে মারধরের বিষয়টি দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।