বগুড়ায় সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে বাবা, মা, ছোট ভাইসহ এলাকার মানুষেরা মানব বন্ধন করেছে। বুধবার বেলা ১২ টার দিকে শহরের প্রানকেন্দ্র সাতমাথায় সাব্বির রহমান শাওন হত্যার বিচার চেয়ে এই মানব বন্ধন করা হয়।
হত্যাকন্ডের শিকার শাওন শহরের ঠনঠনিয়া এলাকার হবিবর রহমানের ছেলে। সে বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজ থেকে এবার এইচ এস সি পাশ করেছে। বাসায় থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য কোচিং করছিল। তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে এমন দাবীতে সচেতন এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা এই মানব বন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধন চলাকালে এই হত্যার বিষয়ে আদালতে দায়েরকৃত মামলার বাদী শাওনের মা মোছাঃ সেলিনা আক্তার কান্নাজড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলেকে শহরের ঠনঠনিয়া সুফি পাড়ার মৃত জামাল হোসেনের ছেলে মিঠু, একই এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে মুন্না বাসা থেকে ডেকেনিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তিনি অভিযোগ করেন হত্যাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তিনি অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবী করেন। মানব বন্ধনে শাওনের বাবা মোঃ হাবিবুর রহমান ছোট ভাই সাকিবুর রহমানসহ এলাকাবাসী ও শাওনের বন্ধুরা। তিনি আরো অভিযোগ করেন, তিনি এব্যপারে ব্যাপারে আরো অভিযোগ করেন, এ ব্যপারে পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক। তাদের কাছে সাহার্য চেয়েও তিনি কোন সহযোগিতা পাননি।
জানা যায় গত ১১/০৮/১৯ তারিখে বিকেল সাড়ে ৫ টায় এলাকার মিঠু শাওনকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর রাত ১০ টার দিকে শাওনকে ফোনদিলে সে বলে মিঠু ও মুন্নার সাথে আছে।তার বেশ কিছু সময় পরেও শাওনা বাড়ী ফিরে না এলে শাওনের মোবাইলে ফোনদিলে বন্ধ পাওয়া যায়। রাত ১২ টারদিকে মিঠুর মোবাইলে ফোন দিলে সে বলে শাওন তার সাথেই আছে। এর পরেও সে না আসায় শাওনের বাবা ভাই ও মিঠু বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান তার পরিবার পায়নি। এর একপর্যায়ে ঈদের দিন ভোর ৫ টার দিকে মিঠুর কথামত শজিমেক হাসপাতালে গেলে শাওনকে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃত দেখে। এ ঘটনায় মামলার বাদীর বিশ^াস মামলার আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাত ১২ টার পর শাওনকে অজ্ঞাত স্থানে খুন করে ঘটনা অন্যখাতে প্রবাহিত করার জন্য লাশটি কৌশলে শাজাহানপুরের ৯ মাইল এলাকায় ফেলে আসে। যা পরবর্তীতে পুলিশ উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ বিষয়ে বার বার পুলিশের কাছে ধর্না দেবার পরও তার অভিযোগ গ্রহন করা হয়নি। পরে এ ঘটনায় শাওনের মা বাদী হয়ে বগুড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিঃ সদর থানা আমলী আদালতে ২০ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করেন।মানব বন্ধন থেকে মামলার সুষ্ট ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং অবিলম্বে আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানানো হয়।