ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থা আরো নিরাপদ, আধুনিক ও পরিবেশ বান্ধব করতে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটি ছাড়াও সরকার পূর্বাঞ্চলকে সংযুক্ত করে বিমান বন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত আরও একটি মেট্রো রেল সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এমআরটি-১ বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর, ভায়া পূর্বাচল নিউ টাউন নামে ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেট্রো রেল সার্ভিস নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ৭১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাবিত লাইনের নকশা প্রণয়নে পরিকল্পনা কমিশন ইতোমধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা গণপরিবহন কোম্পানি লিমিটেড ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ৪৫০ কোটি টাকা ঋণ দেবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, জনসংখ্যা ও যানবাহন বৃদ্ধির কারণে রাজধানীতে ক্রমান্বয়ে যানজট বাড়ছে। ২০১৩ সালে নগরীতে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ছিল ৯৫ হাজার ৪শ’। ২০০১ সালে এই সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৫শ’। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট সংশোধিত পরিবহন পরিকল্পনা কৌশল (আরএসটিপি) অনুমোদন করে সরকার। এতে ৫টি এমআরটি লাইন ও ২টি বিআরটি লাইন নেটওয়ার্ক নির্মাণের পরামর্শ দেয়া হয়। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। প্রস্তাবিত রুটে রয়েছে বিমানবন্দর-খিলক্ষেত, নতুনবাজার-বাড্ডা, মালিবাগ-কমলাপুর এবং অপর রুটটি হচ্ছে যমুনা ফিউচার পার্ক-বসুন্ধরা-পূর্বাচল। এই ২৭ কিলোমিটার রুটের জন্য ঢাকা গণপরিবহন কোম্পানি কনসালটিং ফার্ম নিয়োগ দেবে। প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের প্রাক মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনের কিছু সুপারিশ অন্তর্ভুক্তি সাপেক্ষে প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বিবেচনার জন্য পেশ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাইকার সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন মেট্রো রেল প্রকল্পটি (এমআরটি-৬) ২০১৬ সালের ২৬ জুন উদ্বোধন করেন। ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার এই মেগা প্রকল্পের উত্তরা ৩য় ফেজ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ২০১৯ সালের ডিসেম্বর এবং বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ২০২০ সালের ডিসেম্বরে চালু হবে। এই প্রকল্পে ১৬টি স্টেশন থাকবে এবং ২৮ সেট ট্রেন চলাচল করবে।