তৎকালীন নোয়াখালী-১২ (হাতিয়া-রামগতি) আসনের সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সদস্য মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক,প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম আর নেই। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় নীজ বাড়ি লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চর লরেন্স এলাকায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এদিকে সাবেক জাতীয় সংসদের সদস্য সিরাজুল ইসলামের মৃত্যুর খবর জেলা ব্যাপি ছড়িয়ে পড়লে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে নেমে আসে শোকের ছায়া।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, সাবেক সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদুন্নাহার লাইলী,আশরাফ উদ্দিন নিজান,লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু,সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন,লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব এমএ তাহের,কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহ-সম্পাদক আব্দুজ্জাহের সাজু ও জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতলব।
স্বজনরা জানান,আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের লীগের প্রার্থী হিসাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে হাতিয়া-রামগতি আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি সংসদ সদস্য থাকাকালে এলাকার উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। এরআগে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি একই এলাকা থেকে পাকিস্তান জাতীয় গণ পরিষদ সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন।
সিরাজুল ইসলাম নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বৃহত্তর রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। পরে তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হন। সাবেক এমপি ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম সাহেবের জন্ম ১৯৩৫ সালে কমলনগর (সাবেক রামগতি) উপজেলার চর লরেন্স এলাকায়। বাবা আলহাজ্ব আমিন উদ্দিন পাটোয়ারি ও মাতার নাম সরাফাতুন্নেছা। শুক্রবার বিকাল ৪টায় চর লরেন্স উচ্চ বিদ্যালয়ে নামাজের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থান দাফন করা হয়।