সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা। শনিবার দুপুরে শহরের আলফাত উদ্দিন স্কয়ারে এই মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ‘হাসপাতাল দুর্নীতি দমন ও সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণ কমিটির’ ২৬ আগস্ট পূর্ব নির্ধারিত মানববন্ধন প- করে দেয় ছাত্রলীগ। এর সাথে সাথে ইয়াকুব বখত বহলুল মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের পক্ষে ৩১ আগস্ট মানববন্ধনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মানববন্ধনে তারা বলেন, অনিয়ম দুর্নীতির কারণে সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন জেলার সাধারণ মানুষ। ডাক্তাররা রোগীদের সেবা দেওয়ার চেয়ে প্রাইভেট চেম্বারে বা ক্লিনিকে যেতে উজ্জীবিত করেন বেশী। সেবা নিতে এসে হাসপাতলে এসে হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালের কিছু কর্মকর্তা কর্মচারী বছরের পর বছর এ হাসপাতালে কর্মরত থাকায় তারা হাসপতালকে দুর্নীতির আখড়ার পরিনত করেছেন। অভিলম্ভে এসব কর্মকর্তা কর্মচারিদের বদলী করে নতুন লোক নিয়োগের দাবি তুলেন তারা। কয়েকজন তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে টাকার পাহাড় গড়েছেন। সরকারি নিয়মিত নিয়োগকে পাশকাটিয়ে যুগের উপরে সময় তারা হাসপাতালে কর্মরত আছেন। হাসপাতালে থাকা অবস্থায় তারা শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়গনিষ্ট ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, নজরুল ইসলাম, মানবন্ধনের আয়োজক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ইয়াকুব বখত বহলুল, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সিনিয়র সহ সভাপতি মাসুম হেলাল, সাধারণ সম্পাদক এমরানুল হক চৌধুরী, কবি ও সাহিত্যিক ইকবাল কাগজী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল আহমদ সুজন প্রমুখ।
তারা অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালের ডাক্তাররা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেননা। হাসপাতালের চার্টে অনেক ধরনের ঔষধের নাম লিখা থাকলে রোগীদের ভরসা প্যারাসিটামল, হিস্টাসিন আর এন্টারসিড। রোগী ভর্তি হওয়ার সাথে সাথেই রোগীর স্বজনদের ফার্মেসীতে দৌড়াতে হয়। একটি ব্যথার ইনজেকশনও হাসপাতালে নই। এ কেমন হাসপাতাল? রোগীদের প্রয়োজনে বব্যবহার না হওয়ায় ছরের পর বছর হাসপাতালের মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। রক্ত পরীক্ষাছাড়া কোন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষার সুযোগ নেই হাসপাতালে।