নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌরসভার লক্ষীকোল বাজারে সরকারী জমি দখল করে নির্মাণাধীন তিনটি দোকান ভেঙ্গে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। রোববার দুপুরে তিনি পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকানগুলো ভেঙ্গে দেন। এ সময় পৌর মেয়র আবদুল বারেক সরদার, পৌর ভূমি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বড়াইগ্রাাম পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সামাদ সরকার দোকানগুলো নির্মাণ করছিলেন।
পৌর ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, লক্ষীকোল বাজারের পেরিফেরি ও সায়রাত ভুক্ত জমিতে সম্প্রতি আবদুস সামাদ টিন দিয়ে ঘিরে নিজ দখলে নেন। এরপর গত শুক্রবার রাত থেকে সেখানে ইট দিয়ে দোকান নির্মাণ কাজ শুরু করেন তিনি। এদিকে টিন দিয়ে ঘেরার পরই ইউএনও’র পক্ষ থেকে জমিটি উন্মুক্ত করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু আবদুস সামাদ জমি খালি না করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখেন। ইতোমধ্যে তিনি ১২টি ইটের গাঁথুনি সেরে ফেলেন। তিনি আরো জানান, জমিটির কাগজপত্র দেখতে গিয়ে দেখা গেছে, আবদুস সামাদ সরকার ১৯৯৩ সালে নাটোর আদালতে একটি মামলা (মামলা নম্বর-১৫২) করে হেরে গেছেন। এরপর তিনি ১৯৯৯ আবার একটি সানি মামলা (মামলা নম্বর-৫৪) করেছেন। তিনি বলেন, এসএ আরএস সরকারী হলে সেই জমি ব্যক্তি মালিকানা হওয়ার সুযোগ নাই।
তবে কাউন্সিলর আবদুস সামাদ সরকার জমিটি তার নিজস্ব দাবী করে বলেন, জমিটি আমার দলিলী সম্পত্তি। এটা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। তবে এসএ, আরএস খতিয়ানে খাস জমির মালিকানা কেমন করে হলেন তার কোন উত্তর দিতে পারেননি তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ বলেন, পৌর ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তার মাধ্যমে খবর পেয়ে কাউন্সিলরকে স্থাপনা নির্মাণে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু সে নির্দেশ অমান্য করে কাজ অব্যাহত রাখায় পুলিশের সহযোগিতায় সেগুলো ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।