আদালতের নির্দেশে নাটোরের বড়াইগ্রামে মারা যাওয়ার প্রায় ৫ মাস পর কবর থেকে জিয়াসমিন আকতার (৩৭) নামে এক গৃহবধুর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফ-উল-আরেফিনের উপস্থিতিতে পুলিশ উপজেলার নওদাজোয়াড়ী কবরস্থান থেকে জিয়াসমিনের লাশ উত্তোলন করে। নিহত জিয়াসমিন নাটোর সদর উপজেলার একডালা বাবুর পুকুর এলাকার শামসুজ্জামানের মেয়ে এবং নওদাজোয়াড়ী গ্রামের বেলাল হোসেনের স্ত্রী।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি তদন্ত সুমন আহমেদ জানান, গত ৩১ মার্চ নওদাজোয়াড়ী গ্রামের স্বামীর বাড়িতে জিয়াসমিন মারা যান। এ সময় ময়না তদন্ত না করেই লাশ দাফন করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তে জিয়াসমিনের মৃত্যু নিয়ে স্বজনদের মধ্যে সন্দেহ দেখা দেয়। পরে গত ২৪ জুন নিহতের বোন ইয়াসমিন খাতুন বাদী হয়ে তার বোনকে বালিশ চাপা দিয়ে শ^াসরোধে হত্যা করা হয়েছে মর্মে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় জিয়াসমিনের স্বামী নওদাজোয়াড়ী গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে বেলাল হোসেন ও তার পরকীয়া প্রেমিকা হালিমা খাতুনকে আসামি করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে জিয়াসমিনের লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।