কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় দুই আসামিকে ফাঁসি ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরুপ কুমার গোস্বামী এই রায় দেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে নাজমুল ও ভেড়ামারা উপজেলার বারোমাইল এলাকার আবুল কালামের ছেলে রনি।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাঁস এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে রাব্বি, একই এলাকার খলিলের ছেলে রফিক ও সদর উপজেলার কুমারগাড়া এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে সুজা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কুমারগাড়া এলাকার আব্বাস উদ্দিনের ছেলে সোহাগকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। এর দুইদিন পর ১১ অক্টোবর ভেড়ামারা উপজেলার হার্ডিজ ব্রীজ সংলগ্ন ইপিল ইপিল বাগান থেকে সোহাগের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় সোহাগের খালু শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অভিযুক্ত ৫ জনকে আসামি করে ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, ভেড়ামারা থানা পুলিশ ২০১৭ সালর ৩০ এপ্রিল আদালতে চার্জশীট জমা দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে পেনাল কোড ৩০২ এর ৩৪ ধারায় এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি রনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।