সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কাইমা কমিউনিটি ক্লিনিকটি গর্ভবতী মা’দের জন্য নিরাপদ স্থানে পরিনত হয়েছিলো। যার ফলে ক্লিনিকটি জাতীয়ভাবে পুরস্কৃতও হয়েছিলো। সর্বশেষ শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার ক্যাটাগরিতে কাইমা কমিউনিটি ক্লিনিক এর কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার জয়ন্তি রানী রায় পুরস্কৃত হন। এরপর থেকে অচলাবস্তা দেখাদেয় ক্লিনিকটিতে। গত আগস্ট মাসে কোন গর্ভবতী মা আসেননি ক্লিনিকে।
২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সিএসবি রসিদা বেগমের সহযোগিতায় কেজাউড়া গ্রামের আলফাজ উদ্দিনের স্ত্রী শামীমা বেগম কাইমা কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রথম একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেন। এরপর থেকে আর পিছনে ফিরে থাকাতে হয়নি। রসিদা বেগমের সহযোগিতায় ২০১৪ সালের ১৫সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ জুলাই ২০১৯ পর্যন্ত ৪১২ জন মা বাচ্চা প্রসব করেন। ৪১২ জনের মধ্যে ২০১৪ সালের ২২নভেম্বর মধুপুরের হেলেনা বেগম একটি মৃত বাচ্চা প্রসব করেন। ক্লিনিকটিতে সেবাদানকারী এলাকার বাহিরে দক্ষিনসুনামগঞ্জ এবং শাল্লা উপজেলার মায়েরাও এ ক্লিনিকে বাচ্চা প্রসব করেছেন।
জানা যায়, গত আগস্ট মাসে কোন গর্ভবতী মা আসেননি কাইমা ক্লিনিকে। আগস্ট মাসে ক্লিনিকে কোন বাচ্চা প্রসব হয়েছে কিনা না কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার জয়ন্তী রানী রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। আপনার কিছু জানার থাকলে দিরাই হাসপাতালে কথা বলতে পারেন।