সচিব পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার জেলার জনগুরুত্বপূর্ণ পদ মর্যাদায় অলংকিত। তাদের সুনাম, আচরণ, যশ, খ্যাতি, ন্যায়, অন্যায়, ভুল, ভ্রান্তি, সুনীতি, অপকীর্তি সব কিছু দাবানলের মতো ব্যপ্তি ঘটে। এসব থেকে ভালো ও নিষ্ঠাবানকে যেমন মন্দ বলার সুযোগ পরাহত তেমনি খারাপকেও ভালো বলার সুযোগ নেই। আমলনামাই ভালো মন্দের সনদ দিয়ে থাকে। ইহাই বাস্তবতা। এছাড়া জেনে, শুনে ও দেখে খারাপ ও মন্দদের পক্ষে যারা পায়রুবী, বাহবা, মারহাবা, গুণকীর্তন, ধ্বজাধারী, জিন্দাবাদ ও জয়ধ্বনি করে থাকে তাদের সংখ্যা অতি নগন্য হিসেবে পরিগণিত।
বনে ও চিড়িয়াখানায় যেমন হিং¯্র প্রাণী থাকে তেমনি শান্ত ও নিরীহ প্রাণীও বসবাস করে থাকে। বাঘ মানুষ শিকার করে খেলেও হরিণ তা করে না। এমনিভাবে যারা অন্যায়, অপকর্ম ও দুর্নীতিতে সিদ্ধহস্ত ঘুরে ফিরে ওরাই মানুষ খেকো হিং¯্র বাঘের মতো এ সুযোগ লুপে নিতে অভ্যস্ত। অনেক সময় লক্ষ্য করলে দেখা যায়, পুলিশ বা দুদক কোনো অপরাধের কারণে কাহাকে সম্পৃক্ত করে তদন্তকালে ((Investigation) ) অনেক অজানা ও জঘন্য (Heinous) চিত্র বের হয়ে আসে। যার রয়েছে অসংখ্য উদাহরণ ও ভুরি ভুরি প্রমাণ। না জেনে, না দেখে ও যাচাই বাছাই না করে কারও প্রশংসা, গুণকীর্তন ও বিমূখতা উপাখ্যানটি আজকাল সংস্কৃতিতে পরিণত হলেও ভানুমতির তেল দর্পনের এ সংস্কৃতিটি অনেকের মাঝেই দৃশ্যমান হয় না। তোয়াজ, তোষন ও তেল মর্দনের এ সংস্কৃতি অনেক সময় কাহাকে যেমন মঙ্গলগ্রহ ও চাঁদের দেশে নিয়ে যায়, আবার অনেককে প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরের অতল গহ্বরে নিতেও ভ্রুক্ষেপ বা কুন্ঠাবোধ করে না।
জামালপুরের ডিসি আহমেদ কবিরকে কখনও দেখিওনা বা চিনিও না। প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, ফেসবুক ও ভিডিও ভাইরালের সুযোগে যে আপত্তিকর ঘটনা লক্ষ্য করেছি এর সূত্র ধরেই এ নিবন্ধ। এ নিবন্ধটি লেখার আগেভাগে বারংবার মনে হয়েছে, একজন ডিসি বা জেলা প্রশাসক কী করে এমন বেশরমা এ কাজটি করতে পারে। একজন ডিসির পক্ষে এ কাজটি যেমন অবমাননাকর, কুৎসিৎ, নির্লজ্জ, বেসামাল, মানহানিকর তেমনি অমার্জনীয় অপরাধেরই নামান্তর। এমনিভাবে জামালপুর ডিসি অফিসের নারী সহকারি সানজিদা ইয়াছমিন সাধনার মতো লালবাতি জ্বালিয়ে যে এমন কিছু আর ঘটছে না এ খবর রাখেই বা কজনা।
যদিও এরই মধ্যে জামালপুর ডিসি অফিসের নারী সহকারী (ভিকটিম) সানজিদা ইয়াছমিন সাধনা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছে, ভিডিও ভাইরাল সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। যদিও কাহাকে জানিয়ে ভিডিও ভাইরাল হয় না। ডিসি স্যারের কোনো
চলমান পাতা/২
পাতা: ২
অপরাধ নেই। যা ২৭/৮/১৯ ইং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রকাশিত ও প্রচারিত আপত্তিকর ভিডিও ভাইরালটি দালিলিক ((Documentary evidence) ) প্রমাণ হিসেবে স্বীকৃত ও প্রামাণিক দলিল। দেশের ৬৪টি জেলাতে অনেক নিষ্ঠাবান ও আদর্শবান ডিসি থাকলেও জামালপুরের ডিসির ন্যাক্কারজনক ও আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের পর অনেকেরই ভাবমুর্তিকে এমনিতেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। যা বাস্তবিকই দুঃখজনক। ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে মহকুমা প্রশাসক (এসডিও) ও ডিসিদের মধ্যে এমন ঘটনা আর ঘটেনি তা বলা যাবে না। তবে তা আমলাতান্ত্রিক (Structural Interlocking) জটিলতার কারণে অনেক সময় আলোর মুখ দেখেনি। নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ (Judicial Seperation) পৃথকী করণে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা একটি কারণ বলে অনেকেই মন্তব্য করে থাকে। বর্তমান জিডিটাল আমলে ফেসবুক, সিসি ক্যামেরা, ভিডিও ভাইরাল অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তির (Digital Technology) কারণে তা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ স্বাধীনের আগে ও পরে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো কিশোরগঞ্জে অগনিত মহকুমা প্রশাসক (এসডিও), মহকুমা মুন্সেফ থেকে শুরু করে জেলা ও দায়রা জজ, ডিসি ও এসপি চাকরি করে গেছেন। তাদের মধ্যে এলাকার জনগণ ও সুশীল সমাজ আজও সম্মান ও শ্রদ্ধাভরে অনেককে স্মরণ করে থাকে। জেলা ও দায়রা জজ রুহুল আমীন (সাবেক বিচারপতি), জেলা ও দায়রা জজ ছহুল হোসাইন (সাবেক নির্বাচন কমিশনার), কিশোরগঞ্জের মহকুমা ও জেলা প্রশাসক এম.এ মান্নান (পরিকল্পনা মন্ত্রী), জেলা প্রশাসক ফজলে কবীর (গভর্ণর বাংলাদেশ ব্যাংক), মহকুমা প্রশাসক নূরুজ্জামান মিয়া (সাবেক ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার), মহকুমার প্রশাসক রাফিউল করিম, মহকুমা প্রশাসক আ.ফ.ম জিয়াউদ্দিন আহমেদ, মহকুমা প্রশাসক শহীদ উদ্দিন আহম্মদ প্রমুখ। পুলিশ সুপারদের মধ্যে গোলাম কিবরিয়া, মোঃ সাইফুল আলম (ডিআইজি), মল্লিক ফখরুল ইসলাম (ডিআইজি), খন্দকার গোলাম ফারুক (ডিআইজি), নাজিবুর রহমান (প্রিন্সিপাল সারদা পুলিশ একাডেমী ও অতিরিক্ত আইজি), বিশ্বাস আফজাল হোসেন (অতিরিক্ত আইজি), মোঃ আনোয়ার হোসেন খান প্রমুখদের কথা জানা যায়।
কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও প্রাতিষ্ঠানিক আলোচনা সভায় তাদের সুনাম, যশ, কীর্তি, ন্যায়, নিষ্ঠা, আদর্শ ও অবদানের কথা আজও অনেকেই তুলে ধরে থাকে। এছাড়া পাকিস্তান আমলে কিশোরগঞ্জের মহকুমা প্রশাসক ছিলেন সমর সেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার ছিলেন।
বিভিন্ন তথ্য, সূত্র ও অনেকের কাছ থেকে শুনা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের পুরাতন বাসভবনটি ব্রিটিশ আমলে মহকুমা কারা কর্মকর্তার বাসভবন ছিল। পাকিস্তান আমল থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৮৪ সাল পর্যন্ত ছিল মহকুমা প্রশাসকের বাসভবন। ৮৪ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা হওয়ার পর থেকে ইহা জেলা প্রশাসকের বাসভবন হিসেবে পরিগণিত। সূত্রে আরও জানা যায়, ১৯৮৩ সালে মহকুমা প্রশাসকের (এসডিও) বাসভবনের দক্ষিণ দিকে গাড়ী রাখার গ্যারেজের পাশে বিলাশ বহুল কক্ষ করা হয়। যা জামালপুরের ডিসি আহমেদ কবিরের বিলাশ বহুল কক্ষের সাথে তুলনা করা যায় বলে অনেকেই বলেছে। সেই কক্ষে রাতের বেলায় এক শ্রেণীর মহিলাদের আড্ডা ও গান বাজনার ব্যবস্থা ছিল বলে তথ্য ও সূত্রে জানা যায়। পরবর্তী সময় জনগণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং তদন্ত সাপেক্ষে সামরিক সরকার এ কক্ষটিতে তালা লাগিয়ে দেয়। তারপর কিশোরগঞ্জ জেলা হওয়ার পর থেকে বিলাশ বহুল কক্ষটির অস্তিত্ববিলীন করে দেয়া হয় বলে জানা যায়। ১৯৮৩ সালে উপ আঞ্চলিক সামরিক আইন প্রশাসক (এসজেডএমএলএ) ছিলেন, ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন। বৃহত ময়মনসিংহের ডিসি ছিলেন আনসার আলী সিদ্দিকি। ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা (ডিজিএফআই) কর্ণেল কমান্ড্যান্ট ছিলেন লেঃ কঃ আব্দুর রহমান। জেলা সামরিক আইন প্রশাসক ছিলেন মেজর জিল্লুর রহমান। ১৯৮৩ সালে কিশোরগঞ্জের মহকুমা প্রশাসক ছিলেন, ম.আ. মোতালিব এবং সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসক) ছিলেন মেজর (অবঃ) আলী আহমেদ।
এছাড়া ৮৩ সালে নীলফামারীর মহকুমা প্রশাসক (এসডিও) মোঃ মতিউর রহমানের এক নারী কেলেংকারীর ঘটনা ইত্তেফাক, সংবাদ, দৈনিক বাংলা, বাংলার বাণীসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশিত হয়। জমিদারদের প্রেতাত্মা ও সাধুবেশী শয়তানদের এসব কান্ড দেখে অনেকেই মনে করে বাঘে ছুঁইলে আঠার ঘা। তাই এসব থেকে অনেকেই মুখ ফিরিয়ে চলতেই অভ্যস্ত। যদিও এক সময় আমার সম্পাদনায় প্রকাশিত সাপ্তাহিক নতুন দেশ কাগজে এসব কিছু প্রকাশে কুন্ঠাবোধ করা হয়নি।
জামালপুরের ডিসি আহমেদ কবির ও নারী অফিস সহকারী সানজিদা ইয়াছমিন সাধনার ভিডিও ভাইরাল ২২/৮/১৯ ইং বৃহস্পতিবার সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর জন প্রশাসন মন্ত্রণালয় উক্ত ডিসিকে প্রত্যাহার এবং ওএসডি করে থাকে। ঘটনা তদন্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে। ১০ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়। জানা যায়, ইতোমধ্যে তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। ২৬/৮/১৯ ইং সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা
চলমান পাতা/৩
পাতা: ৩
যায়, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জামালপুরের প্রত্যাহারকৃত ডিসির ন্যাক্কারজন, আপত্তিকর ও স্পর্শকাতর ঘটনায় খুবই সজাগ ও ডাস্টিক এ্যাকশন ও পদক্ষেপ গ্রহণে আগ্রহী। ডিসির এহেন ভিডিও ভাইরাল হওয়া আপত্তিকর দৃশ্যপট থেকে অনেকেই মনে করে থাকে এ যেন নির্লজ্জ, বেলাল্লাপনা ও বেশরমারই দলিল।
সুশীল সমাজের একজন বলেছেন, এ ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি যদি কোনো সাধারণ কর্মচারী বা সমাজের অন্য কারও বিরুদ্ধে ঘটত, তবে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার, নাজেহাল ও পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের সীমা, পরিসীমা ও যাতনার অন্ত থাকতনা। ডিসি আহমেদ কবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগটি প্রমাণিত হলে উদাহরণ সৃষ্টির মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ২৫/৮/১৯ ইং রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনাকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ মন্তব্য করে থাকেন। বিষয়টি অনেকেরই দৃষ্টিগোচর ও দৃশ্যপটে এসেছে মন্তব্য করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেছেন, এটি অনৈতিক, আপত্তিকর ও বেসামাল কর্মকান্ড। একজন ডিসি হিসেবে দায়িত্ব রয়েছে। যা অমার্জনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত (২৬/৮/১৯ ইং দৈনিক যুগান্তর)।
জানা যায়, ডিসির বিরুদ্ধে এ ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে পুলিশের হয়রানী থেকে রক্ষা পেলেও জনরোষের কারণে রাতের অন্ধকারে ডিসি জামালপুরের বাসভবন ত্যাগ করে থাকে। এ প্রসঙ্গে একজন বিজ্ঞ আইনজীবী মন্তব্য করে বলেছেন, অপকর্মের দোসর ডিসি অফিসের নারী সহকারী সানজিদা ইয়াছমিন সাধনা যেহেতু ডিসির হাতে ছিল, এ ঘটনার পর ডিসি আহমেদ কবির পালিয়ে না এসে যদি তাহাকে স্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দিত তবে আপত্তিকর ঘটনার গোমর ফাঁক হলেও অনেকাংশে দুজনেই হয়তোবা রেহাই পাওয়ার পথ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। যদিও ঘটনা ঘটাবার আগেই নারী সহকারীকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দেয়ার কথা। কারণ ডিসিতো একজন সাধারণ কর্মচারী নহেন। তাহাকে রক্ষার জন্যও যে তার পর্ষদের লোকজন একেবারে নেই তাও বলা যাবে না। ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলে এমন ধরণের অনেক ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার দৃশ্যপট ও উদাহরণ যে নেই তাও বলা যায় না। বিজ্ঞ আইনজীবী আরও বলেছেন, এ কর্মপন্থা গ্রহণের সময় ও সুযোগ তার এখন আর অবশিষ্ট নেই। ঘটনা এখন অনেক দূর পর্যন্ত গড়িয়েছে। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ধলেশ্বরী, ব্রহ্মপুত্র ও তিতাসের পানি এতক্ষণে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তারপরও বিজ্ঞ আইনজীবী মন্তব্য করে বলেছেন, পরিশেষে এ বিষয়টি কোনদিকে গিয়ে পরিসমাপ্তি ঘটে ইহাই হয়তো দেখার বিষয়। এছাড়া আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে তিনি ওড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে তিনি বলেছেন, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী যেহেতু সাংবাদিকদের সাথে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা উচ্চারণ করেছেন, তা হয়তো একটি দৃষ্টান্তমূলক নজির হিসেবেও প্রতিফলিত হতে পারে।
জানা যায়, উক্ত ডিসিই নাকি এ মহিলাকে চাকরি দিয়েছেন। চাকরি নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতিসহ তার বিরুদ্ধে আরও কাহিনী বেরুতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগে নারী সংক্রান্ত ও দুদকের মামলায় ডিআইজি মিজানকে কারাগারে নেয়া হয়েছে। দুর্নীতির কারণে চট্টগ্রামের ডিআইজি প্রিজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা যায়, চট্টগ্রামের উর্ধ্বতন সাত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অর্জনের কারণে দুদকের মামলা হয়েছে (যুগান্তর ২৫/৮/২০১৯ ইং)। এছাড়া দুদকের দুর্নীতিগ্রস্থদেরকেও রেহাই দেয়া হচ্ছে না। দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরসহ আরও অনেককে গ্রেফতার করে আইনের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। অনেককে চাকরি থেকে অপসারণ এবং ওএসডি করা হয়েছে।
জামালপুরের ডিসি আহমেদ কবির ও নারী সহকারী সানজিদার আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের ঘটনাটি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বা Structural Interlocking এর কারণে ধামাচাপা না হয়ে যাতে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় ইহাই জনপ্রত্যাশা। কথায় বলে যত দোষ নন্দ ঘোষ। পানি সব সময় নীচের দিকেই প্রবাহিত হয়। বিচারের বাণী অনেক সময় নিরবে নিভৃতে কাঁদে। পরিশেষে বলা যায়, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ২৫/৮/১৯ ইং সাংবাদিকদের সাথে বলেছেন, জামালপুরের ডিসি আহমেদ কবিরের আপত্তিকর ভিডিওটি প্রমাণিত হলে উদাহরণ সৃষ্টির মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিমন্ত্রীর এ আশ্বাস বার্তার পর এ ব্যাপারে আপাততঃ অপেক্ষা করাই প্রনিধানযোগ্য।