ফরিদপুরের আন্দোলন সংগ্রামের লড়াকু সৈনিক রাজপথ কাঁপানো জিয়ার সৈনিক সাবেক ছাত্রনেতা সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল। একজন সৎ সাহসী,নিষ্ঠাবান,ত্যাগী ও কর্মী বান্ধব নেতা হিসেবে তিনি এখন ফরিদপুরের যুব ও ছাত্র সমাজের আইকন। বিগত ১২ বছরে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে বার বার হামলা মামলার স্বীকার হয়েছেন মাসের পর মাস কারা নির্যাতন ভোগ করেছেন। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় মারাত্মক আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েছেন। মৃত্যুর দোয়ার থেকে ফিরে এসে আবার ও রাজপথে সরব হয়েছেন এই মৃতুঞ্জয়ী নেতা।
১৯৯০ এর গন আন্দোলনে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ফরিদপুরের ময়জদ্দীন উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে মিছিলে মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করার মধ্যে দিয়ে রাজনীতির হাতে খড়ি। ১৯৯১ সালে এস এস সি পাশ করে দক্ষিন বঙ্গের অন্যতম বিদ্যাপিঠ রাজেন্দ্র বিশ^বিদ্যালয় কলেজে ভর্তি হন। শৈশব থেকেই মনে প্রানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ভালবাসতেন তার আদর্শ বুকে ধারন করে ছাত্রদল এর রাজণীতি শুরু করেন।
৯০ পরবর্তী ফরিদপুরের রাজণীতিতে হাতে গোনা যে কয়েকজন রাজণীতিবিদ জনগনের ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন কর্মী বান্ধব নেতা হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল।
এক কালের কিংবদন্তী ছাত্রনেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী মরহুম জননেতা কে এম ওবায়দুর রহমানের শিষ্য হিসেবে এবং তার সান্নিধ্যেই সৈয়দ জুয়েল এর পথচলা শুরু। তিনি তার যোগ্যতা এবং পরিশ্রমের ফলে একাধিকবার ফরিদপুর জেলা ছাত্রদল ,স্বেচ্ছাসেবক দল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এবং জেলা বিএনপির বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। ১৯৯২ সালে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল থেকে রাজেন্দ্র বিশ^বিদ্যালয় কলেজের ছাত্রছাত্রী সংসদের এজিএস নির্বাচিত হন। ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পারন করেন। ১৯৯৬ সালে ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ২০০২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সালে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হন। ২০০৫ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুর জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ সালে ফরিদপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হন। ২০১৪ সাল থেকে ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং সৈয়দ জুয়েল এর নেতৃত্বে ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল বাংলাদেশের মধ্যে একটা মডেল হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানোর পর থেকেই দেশনেত্রীর মুক্তির দাবিতে সৈয়দ জুয়েল এর নেতৃত্বে ফরিদপুরে রাজপথে তীব্র আন্দোলন হয়েছে। তার নেতৃত্বে ফরিদপুরে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তিনি একাধিকবার পুলিশের হামলায় আহত হয়েছেন প্রায় ২ ডজনের বেশী মামলার আসামি হয়েছেন। তিনি শুধু ফরিদপুর জেলা শহরের বিএনপির নেতা কর্মীদের কাছেই জনপ্রিয় নন ফরিদপুরের বিভিন্ন উপজেলার নেতা কর্মীদের কাছে ও ব্যাপক জনপ্রিয়। প্রতিটি উপজেলায় রয়েছে তার অসংখ্য ভক্তবৃন্দ। সৈয়দ জয়েল এর সাংগঠনিক দক্ষতা,মেধা ,শ্রম এবং বিগত আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রনী ভুমিকার কারণে ফরিদপুরের বিএনপি নেতা কর্মীরা তাকে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হিসেবে দেখতে চায়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমানের কাছে ফরিদপুরের বিএনপি এবং অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের প্রানের দাবি ফরিদপুরের রাজপথের লড়াকু সৈনিক পরিক্ষিত নেতা সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুযেলকে ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক করা হোক। ফরিদপুরের বিএনপির নেতা কর্মী ও সমর্থকদের বিশ^াস সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হলে ফরিদপুরে বিএনপি সুসংগঠিত হবে।