শেরপুরে নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠককালে ১৭ শিবিরকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত পোনে ৪ টার দিকে সদর উপজেলার দিঘারপাড় এলাকার একটি পরিত্যক্ত গোডাউন থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই, লিফলেট ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন নালিতাবাড়ী উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের সামছুজ্জামানের ছেলে আশিক বিল্লাহ (১৮), কিল্লাপাড়া গ্রামের আবদুল মোতালেবের ছেলে জাহিদ হাসান (১৮), ছিটপাড়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মোজাহিদুল ইসলাম (১৯), ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামের হাবিবুল্লাহর ছেলে আবু সামা কবির (২০), বাগিছাপুর গ্রামের ইসমাইলের ছেলে আলমগীর (১৯), রাজনগর গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে ওসেক বিল্লাহ (১৮), শ্রীবরদী উপজেলার পোড়াগড় গ্রামের বাচ্চা গেল্লার ছেলে ওবায়দুল ইসলাম (১৮), আবদুস সামাদের ছেলে কামাল মিয়া (২২), বড়পোড়াগড় গ্রামের সবুর উদ্দিনের ছেলে রুহুল আমিন (১৬), জলংগাপাড়া গ্রামের মোঃ মামুনের ছেলে বেলায়েত হোসেন (১৮) ও বায়জিদ হোসেন (১৬), আবদুল খালেকের ছেলে মোঃ নুরনবী (১৬), সাতানি মথুরাদি গ্রামের আমির আমজার ছেলে মোজাহিদুল ইসলাম জাহিদ (১৬), তাতিহাটি গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া (১৭), সাইদুল ইসলামের ছেলে আরাফাত (১৫), তিনানী ভেলুয়া গ্রামের আবু আহাম্মদের ছেলে মাহাদি হাসান (১৮) ও খামারিপাড়া গ্রামের আবুল বারেকের ছেলে সুন্দর আলী (১৬)। এরা সকলেই বিভিন্ন মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার রাত ২টার দিকে শেরপুর সদর উপজেলার দিঘারপাড় এলাকার বলোবলো বাজারের ইসমাইল হোসেন নামের এক ব্যক্তির পরিত্যক্ত গোডাউনে কিছু সন্ত্রাসী গোপন বৈঠক করছিল। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই গোডাউন ঘরটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। পরে সন্ত্রাসীরা সংখ্যায় বেশী থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে অভিযান চালিয়ে রাত পোনে ৪টার দিকে ওই গোডাউন থেকে ১৭জন শিবিরকর্মীকে আটক করা হয়। এ সময় সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ জিহাদী বই, একটি ব্যানারসহ দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা জব্দ করা হয়।এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে।