কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে চাউলসহ বিািভন্ন খাদ্য দ্রব্য প্লাষ্টিকের বস্তায় অবাধে বিক্রি করছে। কালীগঞ্জ শহরে রয়েছে দু,টি বড় বাজার এবং ১১ টি ইউনিয়নে রয়েছে বাজার ও রড় রড় মুদি দোকান। দোকান ও বাজারে চাউল, মুরুগির খাদ্য,চিনিসহ বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য প্লাষ্টিকের বস্তায় বিক্রি করছে। এসব খাদ্য বিক্রি করা আইন বহিরভুর্ত ও বেআইনি। কালীগঞ্জ শহরে নতুন বাজার ও বড় বাজারের হাট চাঁদনীর চাউল বাজারে নিষিদ্ধ প্লাষ্টিক বস্তায় চাল বিক্রি করছে অপরাধে। এসব ব্যাপারে মাছে মাঝে স্থানীয় প্রশাসন অভিজান চালায় ও জরিমানা করে তাতে কোন লাভ হচ্ছে না। গতকাল শুক্রবার দুটি বাজারে দেখা গেছে অবাধে প্লাষ্টিকের বস্তায় চাল বিক্রি করছে।
এদিকে চাল ব্যবসায়িরা বলছে চাউলের মিল থেকে এভাবে প্লাষ্টিকের বস্তায় চাল ভর্তি করে বাজারে আসছে। আবার কেউ পোল্টি মুরগির খাবারের বস্তা কিনে চাল ভর্তি করে খুচরা বিক্রি করছে। যে কারণে স্থানীয় প্রশাসন মাঝে মধ্যে বাজারে অভিজান চালাচ্ছে কিন্তু চালের মিলে কোন অভিজান চালানো হয় না।
যেমন ৯ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে পন্যে পাটজাত মোড়ক বাধ্যতামূলক আইন ২০১০ /১৪ ধারা মোতাবেক এ জরিমানা আদায় করা হয়। কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জাকির হোসেন এ আদালত পরিচালনা করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি জাকির হোসেন জানান, শহরের চাল বাজারে অভিযান চালিয়ে পাটজাত পণ্যের পরিবর্তে প্লাষ্টিকের বস্তা মোড়ক হিসেবে ব্যবহার করার অপরাধে চাল বাজারের ১০ ব্যবসায়ীর প্রত্যেককে ১ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা কে এম আবদুল বাকী, কালীগঞ্জ থানার এস আই দেলোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সরকারি ভাবে প্লঅষ্টিকের বস্তা ব্যবহার করা নিষেধ থাকলেও অসাধু ব্যবসায়িরা তা ব্যবহার করছে।
প্রশাসন অভিজান চালিয়ে ব্যবসায়িরা জরিমানা ও দিয়েছে কিন্তু যেভাবে প্লাষ্টিকের ব¯তায় চাল বিক্রি হচ্চিল সেভাবেই বিক্রি চলছে। কোন কিছুর পরিবর্তন হয়নি। বিশেষ করে কালীগঞ্জ শহর ও গ্রাম এলাকায় বড় বড় মুদিখানার দোকানে ও অভিজান চালানো দরকার। প্রতিটি দোকারে রয়েছে ও অবাধে বিক্রি করছে প্লাষ্টিকের বস্তা ভর্তি মালামাল। পাটজাত মোড়কে মালামাল ও চাউল বিক্রির আইন থাকলে ও ব্যবসায়িরা কোন ভাবেই আইন মানছে না। চিকিসকরা বলছে প্লাষ্টিকের বস্তায় কোন মালামাল ও খাদ্য দ্রব্য রাখলে সেটাতে রোগ জিবানু হতে পারে। যা মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের আর ও জোরালো ভুমিকা রাখার প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন।