বগুড়ার ধুনটে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবতী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে তারেক ইসলাম (২০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে ওই যুবতী নারী ধর্ষণের অভিযোগে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ধর্ষককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত তারেক ইসলাম আড়কাটিয়া গুচ্ছগ্রামের মোক্তার ইসলামের ছেলে।
মামলাসূত্রে জানাগেছে, উপজেলার আড়কাটিয়া গুচ্ছ গ্রামের জনৈক এক দরিদ্র কৃষকের এক যুবতী মেয়েকে (১৮) একই গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে তারেক ইসলাম প্রায়ই তাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করতো। কিন্তু তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই যুবতীকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিল তারেক। এ বিষয়ে তার পরিবারকে জানালে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে গত ১৩ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টায় বাড়িতে কেউ না থাকায় তারেক ইসলাম ওই যুবতীর ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এঘটনাটি কাউকে না বলতে ভয়ভীতি এবং বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কৌশলে সটকে পড়ে তারেক। এরপর ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে তারেক ইসলাম। সর্বশেষ গত ৩০ আগস্ট আবারও তারেক ইসলাম ওই যুবতীকে তার ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করতে থাকে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তারেককে হাতেনাতে ধরে তার পরিবারকে খবর দেয়। পরে ধর্ষক তারেকের বাবা-মা ওই ধর্ষিতা নারীর পরিবারের কাছে ৮০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। এতে নিরুপায় হয়ে শুক্রবার সকালে ওই ধর্ষিতা যুবতী নারী বাদী হয়ে লম্পট তারেক ইসলামকে আসামি করে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেন।
ধুনট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি সার্বিক) ইসমাইল হোসেন বলেন, এক যুবতীকে নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর প্রধান আসামি ধর্ষক তারেক ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং নির্যাতিত ওই নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।