বগুড়ার ধুনটে ধর্ষিতা নারীর গর্ভে জন্ম নেয়া কন্যা সন্তানের পিতৃপরিচয় মিলেছে দীর্ঘ ১৭ বছর পর। উচ্চ আদালতের আদেশে ধর্ষিতা নারী, তার সন্তান ও ধর্ষকের ডিএনএ পরীক্ষায় পিতৃপরিচয় সনাক্ত করা হয়। ধর্ষক পিতা মাহফুজার রহমান উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের গমির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে। ২০০১ সালে দয়েরকৃত ওই নারীর ধর্ষন মামলায় প্রায় ৬ বছর আগে তার যাবজ্জীবন সাজার আদেশ হয়। সাজাপ্রাপ্ত মাহফুজার রহমান বর্তমানে বগুড়া জেলা কারাগারে রয়েছেন। শুক্রবার বগুড়ার ধুনট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি সার্বিক) ইসমাইল হোসেন এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ৬ আগস্ট দীপংকর দত্ত স্বাক্ষরিত ডিএনএ পরীক্ষার প্রত্যয়নপত্রটি ঢাকা সিআইডির সদর দপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার ধুনট থানায় পৌছানো হয়েছে।
থানাসূত্রে জানাগেছে, উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের জয়শিং গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তির যুবতী মেয়ে তার মায়ের সাথে সোনাহাটা বাজার এলাকায় সরকারি রাস্তার পাশে কুড়ে ঘর তুলে বসবাস করে আসছিল। ২০০১ সালে জয়শিং গ্রামের গমির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মাহফুজার রহমান ঘরে ঢুকে ওই যুবতী নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। ধর্ষনের শিকার হয়ে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ২০০১ সালে ওই নারী বাদী হয়ে ধর্ষক মাহফুজার রহমানের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ওই ধর্ষিতা নারী এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। বর্তমানে তার বয়স ১৭ বছর। এদিকে ধর্ষন মামলায় প্রায় ৬ বছর আগে ধর্ষক মাহফুজার রহমানের যাবজ্জীবন সাজার আদেশ হয়। সাজাপ্রাপ্ত মাহফুজার রহমান বর্তমানে বগুড়া জেলা কারাগারে রয়েছে। এ অবস্থায় মাহফুজার রহমান সন্তানের দায় এড়াতে মাহমুদা খাতুনের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আদালতের আদেশে গত ৩০ জুন ঢাকা সিআইডির সদর দপ্তরে দীপংকর দত্ত নামে এক পরীক্ষক ধর্ষক মাহফুজার রহমান, ধর্ষিতা নারী ও তার কন্যা সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করেন। পরীক্ষায় ধর্ষক মাহফুজার রহমানের মেয়ে হিসেবে তার পরিচয় সনাক্ত হয়।
ধুনট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি সার্বিক) ইসমাইল হোসেন বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট আদালতে প্রেরন করা হবে। তাই এ বিষয়টি আদালত সিদ্ধান্ত নিবেন।