সোনারগাঁও পৌরসভার টিপুরদী মাইনকার ভিটা গ্রামে সৎ মায়ের হাতে সামিয়া নামে সাত বছরের শিশু নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকালে রুটি তৈরীর বেলুন দিয়ে শিশু সামিয়াকে পিটিয়ে আহত করে। আহত ওই শিশুকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই শিশু সামিয়ার মা কারিমা আক্তার বাদী হয়ে দু’জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা অভিযোগে ওই শিশুর মা উল্লেখ করেন, উপজেলার সোনারগাঁও পৌরসভার টিপুরদী মাইনকার ভিটা গ্রামের মুল্লুকচাঁনের ছেলে সৌদী প্রবাসী আল আমিনের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের দুই পুত্র সন্তান মোহাম্মদ ও আবদুল আজিজ ও সামিয়া নামে একজন কন্যাসন্তান জন্ম হয়। তাদের পারিবারিক কলহের কারণে তাকে রেখে তার স্বামী দ্ধিতীয় বিয়ে করে। এরপর তাকে তার বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পারিবারিক কলহের কারণে আল আমিনের দ্বিতীয় স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে যায়। গত এক মাস পূর্বে সে বিদেশ থেকে মোবাইল ফোনে সীমা আক্তার নামের অপর আরেক মহিলাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে সামিয়াকে তৃতীয় স্ত্রী সীমা কারণে অকারনে ওই ছেলে মেয়েদের মারধর করে। গত শুক্রবার বিকালে তার আল আমিনের তৃতীয় স্ত্রী তার স্বামীর নির্দেশে তাদের প্রথম পক্ষের একমাত্র মেয়ে সামিয়াকে রুটি তৈরীর কাঠের বেলুন দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। গ্রামের আশেপাশের লোকজন আহত সামিয়াকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনার পর শিশু সামিয়ার মা কারিমা আক্তার বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। টিপুরদী গ্রামের বাসিন্দা ও পঞ্চচায়েত কমিটির সভাপতি আঃ খালেক প্রধান জানান, সামিয়ার বাবা বিদেশ থাকে। তার বাবার অনুপস্থিতিতে তার সৎ মা বিভিন্ন সময়ে শারিরিকভাবে নির্যাতন করে। সৎ মায়ের নির্যাতনে ওই শিশু মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মেয়েটিকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, শিশু নির্যাতনের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।